বিশ্বজুড়ে কফি এখন শুধু একটি পানীয় নয়, এটি এখন শহুরে সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। বাংলাদেশেও তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে কর্মব্যস্ত মানুষের কাছে কফির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর এই কফি-সংস্কৃতিকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে আমা কফি। আবুল খায়ের গ্রুপ ২০২১ সালে আমা কফি বাজারে আনে। আসার পর স্বল্প সময়েই আমা কফি তার গুণগত মান ও বৈচিত্র্যময় পণ্যের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

ব্রাজিলের স্বাদ যখন হাতের মুঠোয়

আমা কফির প্রধান আকর্ষণ হলো এর ব্রাজিলীয় কফি ব্লেন্ড। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এই ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। ব্রাজিল বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী দেশ। সেই দেশের ঐতিহ্যবাহী মানের কফিকে প্রক্রিয়াজাত করে আমা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে আমা কফি পণ্যের বৈচিত্র্য নিয়ে আসছে বাজারে। তাদের রয়েছে তিন ধরনের পণ্য। সব শ্রেণির ভোক্তার চাহিদা পূরণ করছে আমা কফি। ‘থ্রি ইন ওয়ান ইনস্ট্যান্ট কফি প্যাক’ যারা চটজলদি এবং চিনিসহ কফি পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি একটি আদর্শ সমাধান। অন্যদিকে চিনিমুক্ত (সুগার ফ্রি) ইনস্ট্যান্ট কফি, যাঁরা অতিরিক্ত চিনি ছাড়া কফি পান করতে চান তাঁদের জন্য। এ ছাড়া ক্ল্যাসিক কফির মাধ্যমে কফির সেই চিরচেনা ‘বিটার সুইট’ স্বাদ পাচ্ছেন কফিপ্রেমীরা।

তারুণ্যের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও বাজার সাফল্য

দেশে আমা কফির দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। আন্তর্জাতিক মানের স্বাদ, সহজলভ্যতা ও সুগার ফ্রি প্যাক তরুণ ও ডায়েট সচেতন গোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করেছে। আর তাই মাত্র তিন বছরের মধ্যে আমা কফি আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কফি আমদানি বাজারে একটি প্রভাবশালী ব্র্যান্ড হিসেবে।

আমা বেভারেজ বিজনেস সলিউশন

শুধু খুচরা কফি প্যাকেট নয়, প্রতিষ্ঠান এবং অফিসের জন্য আমা কফি একটি সম্পূর্ণ কফি পরিবেশন সমাধানও সরবরাহ করছে। আমা বেভারেজ বিজনেস সলিউশনের মাধ্যমে হোটেল, ক্যাফেটেরিয়া, রেস্টুরেন্ট, কুলিং কর্নার, অফিস এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হট বেভারেজ পরিবেশনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা আমা নিশ্চিত করে। এই সমাধানের আওতায় তারা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানির তৈরি ভেন্ডিং মেশিন সরবরাহ করে। সেই সঙ্গে ভেন্ডিং মেশিনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কফি, ইনস্ট্যান্ট টি ও হট চকলেট ইত্যাদি উপকরণও সরবরাহ করা হয়। পরিবেশনের জন্য কাগজের কাপের ব্যবস্থাও আছে। ভেন্ডিং মেশিনের জন্য যেকোনো প্রযুক্তিগত সহায়তা (টেকনিক্যাল সাপোর্ট) এবং রক্ষণাবেক্ষণের (মেইনটেন্যান্স) জন্য আমা কফির রয়েছে অভিজ্ঞ কারিগরি দল।

আমা কফি তার ব্রাজিলীয় গুণগত মান, স্বাস্থ্যসচেতন পণ্য ও তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আধুনিক সমাধান প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কফি বাজারে একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।

এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।

আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি