আজই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক
Published: 5th, August 2025 GMT
আজ সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। আজ মঙ্গলবার সকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সমাবেশে বলেন, ‘আপনাকে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু কারও কথায় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না। বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, আজকেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।.
সমাবেশে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বিএনপির নেতা ফারুক বলে, ‘যারা ’৭১-এর স্বাধীনতা মানে না, যারা ড. ইউনূসের নির্বাচন মানে না, তারা এখন ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। বঙ্গোপসাগরে যেমন বাঁধ দেওয়া সম্ভব নয়, তেমনি বিএনপিকে বাদ দিয়ে এই দেশে কোনো নির্বাচন কেউ করতে পারবে না।’
সমাবেশে পিআর পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা। সেনবাগ থানা-পুলিশের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু যারা এখনো চোরাগোপ্তা বসে বসে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।’
দলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যাঁরা সেনবাগে এমপি হতে চান, দয়া করে জনগণের কাছে যান। বিভেদ সৃষ্টি করে নতুন লোক আমদানি করে এই দেশে রাজনীতি করানো কঠিন হবে।’
সেনবাগ বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল সেনবাগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জয়ন ল আবদ ন ফ র ক উপদ ষ ট ব এনপ র স নব গ
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাারের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গেলে আরেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পক্ষের লোকজন তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এ সময় সাব্বিরের পক্ষের লোকজনও তাদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনি দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার শুরু হয় অনুষ্ঠান।
ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “অনুষ্ঠানে আমি বাধা দেওয়ার কেউ না। আমি বাধা দিইনি। জুলাই যোদ্ধাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এই অকৃতজ্ঞতার প্রতিবাদ জানিয়েছি সচেতন নাগরিক হিসেবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসনের। এটি আমাদের নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান নয়। এখানে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়ে আমরা কেউ না। এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না। শুধু তাই নয়, আমাকে বক্তৃতার জন্য ডাকা হবে, এটা আমি নিজেও জানতাম না।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “মঞ্চে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়েই তাদের ঝামেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও অনুষ্ঠান শুর হয়।”
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক