আড়াইহাজার উপজেলার প্রশাসনের আয়োজনে ও রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সার্বিক তত্বাবধানে এ এম বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের  (এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত) সংবর্ধনা প্রদান ও বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) দুপুরে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউর হক মিলন।

অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান রনির সঞ্চালনায়   বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সোলাইমান। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, উম্মে রুমান মাহিয়ান প্রমুখ।

আলোচনা শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননাসহ ক্রেস্ট তোলে দেন বিদ্যালয়  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এবং অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নিনির্বাহী অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “তোমাদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি গোটা জাতির জন্য গর্বের। তোমরা আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে এমন প্রত্যাশায় আমরা তোমাদের পাশে আছি।” 

তিনি আরও বলেন,”আড়াইহাজারে রেনেসাঁ ফাউন্ডেশন এর এই সম্মাননা অনুষ্ঠান সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক। মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক সংমিশ্রণেই তৈরি হয় আলোকিত ভবিষ্যৎ।”

এই সংবর্ধনা আগামীতে আরো ভালো ফল করার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন সম্মাননা পাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাকবৃন্দ।

আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, মহাসচিব মীযানুর রহমান,প্রতিবন্ধী শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মহিন সরদার,বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক সভাপতি শামীম হোসেন,ঢাকা পোস্টের সোনারগাঁ প্রতিনিধি মীমরাজ হোসেন, নয়া শতাব্দীর সোনারগাঁ  প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকা পোস্ট এর সোনারগাঁ প্রতিনিধি মীমরাজ হোসেন রাহুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, "জীবনে ভালো মানুষ হওয়া খুব জরুরি। ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি তোমাদেরকে ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হতে হলে ভালো বই বেশি বেশি পড়তে হবে।

বই মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায়। তোমরা আলোর পথের যাত্রী। তোমাদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে দেশ ও জাতি।"

অনুষ্ঠানের সভাপতি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, "তোমরা সবাই প্রতিভাবান। তবে প্রতিভা থাকলেই চলবে না, প্রতিভাকে লালন করতে হয়। চর্চা করতে হয়।

লোহা বা ইস্পাতের কোনো জিনিস দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে মরিচা ধরে যায়, মেধাকেও শাণ দিতে হয়। তোমরা আমাদের গর্ব। পড়ালেখা করে তোমরা ভালো মানুষ হবে, দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবে এবং সমাজকে আলোকিত করবে।"

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ এম বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন অফ স র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন ফর্মুলা-ই রেসিং কার আরও শক্তিশালী হচ্ছে

দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নাম ফর্মুলা–ই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতাকে ফর্মুলা-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির রেস দেখা যায়। ফর্মুলা–ই এখন পর্যন্ত দ্রুততম ও সবচেয়ে টেকসই রেসিং কার উন্মোচন করেছে। আগামী ২০২৬-২৭ মৌসুমে জেন–৪ নামের এই গাড়িটির অভিষেক ঘটবে। এটি বর্তমানে ফর্মুলা ওয়ানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো গাড়ির চেয়ে দ্রুততর অ্যাক্সিলারেশন বা ত্বরণে চলতে পারে। এই নতুন গাড়িতে বিদ্যমান জেন–৩ ইভো মডেলের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি শক্তি থাকবে। ৩৫০ কিলোওয়াট থেকে ৬০০ কিলোওয়াট শক্তিতে পরিণত হবে গাড়িটি।

নতুন মডেলের গাড়িতে স্থায়ীভাবে সক্রিয় অল-হুইল ড্রাইভ থাকবে। এটি হবে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গাড়ি। নির্মাণের সময় এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ ভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফর্মুলা–ইর প্রধান নির্বাহী জেফ ডডস বলেন, বৈদ্যুতিক রেসিংয়ে এক দশকের বেশি সময়ের অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন এই গাড়ি। পরিচালক সংস্থা এফআইএর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই গাড়িটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত, চাহিদাপূর্ণ ও টেকসই মেশিন। কর্মক্ষমতা ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন মান তৈরি করবে। বিদ্যমান গাড়িটিই ইতিমধ্যে প্রায় ১.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। যেকোনো ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির চেয়ে প্রায় ৩০ ভাগ দ্রুত ছুটতে পারে এই গাড়ি।

নতুন গাড়িটি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ বছর আগে যখন এই সিরিজ শুরু হয়, তখন সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। ব্যাটারির স্বল্পতার কারণে চালকদের রেসের মাঝখানে গাড়ি পরিবর্তন করতে হতো। ডডস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি নতুন গাড়ির গতি সোজা রাস্তায় ও টেস্ট ট্র্যাকে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল দেখা যায়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টার ২০০ মাইলের  চেয়ে বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে এই গাড়ি ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির সমতুল্য গতিতে ল্যাপ করার বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলার সম্ভাবনা থাকবে।

এফআইএর সিনিয়র সার্কিট স্পোর্ট ডিরেক্টর মারেক নাওয়ারেকি জানান, উচ্চগতির জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। এসব গাড়ির জন্য কিছু ট্র্যাকে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে।

সূত্র:  রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ