সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ববিতে মানববন্ধন
Published: 9th, August 2025 GMT
গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রেসক্লাব।
শনিবার (৯ আগস্ট) ববি মূল ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে ববি প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় তাদের হাতে ‘সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চাই;গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই’, ‘অপরাধীর বিচার চাই’, ‘WE DEMAND JUSTICE’, ‘WE DEMAND SAFETY’, ‘JUSTICE FOR TUHIN’ ইত্যাদি লেখা প্লাকার্ড দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ৭ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে
মৌলভীবাজারে ছাত্রদল নেতাকে গলাকেটে হত্যা
সমাবেশে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস ও দৈনিক মানবজমিনের ববি প্রতিনিধি আরিফ হোসাইন বলেন, “আজ আমরা এখানে এক গভীর শোক ও ক্ষোভ নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ ৭ আগস্ট গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সংবাদকর্মী মো.
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সরকারসহ সবাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রমাণ দেখা যায় না। দেশে এভাবে হত্যা চলতে থাকলে সাংবাদিকরা সত্য, অপরাধ ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। আমাদের দাবি, তুহিন হত্যার সর্বোচ্চ বিচারের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে না পারে।”
রাইজিংবিডি ডটকমের ববি প্রতিনিধি সাইফুল বলেন, “সাংবাদিক তুহিন হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের সব গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর যথোপযুক্ত বিচার চাই, যাতে পরবর্তীতে কখনো এমন আর না হয়। এর আগেও অনেক সাংবাদিক হত্যা হয়েছে, যার বিচায় আমরা পাইনি। নতুন স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চাই।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য বর শ ল ত হ ন হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।