ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জামায়াতের আপত্তি নেই: তাহের
Published: 10th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ‘‘জামায়াত নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাতে জামায়াতের আপত্তি নেই।’’
বরিবার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।
ডা.
আরো পড়ুন:
‘ফ্যাসিস্ট ফিরে আসলে দাড়ি-টুপিওয়ালা মানুষ বাড়িতে ঘুমাতে পারবে না’
টাঙ্গাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল
বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা সুখকর নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতি প্রয়োজন। পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিন্তু বিশ্বে নতুন নয়। এতে জনগণের ভোটাধিকারের সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে।’’
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জনগণের দাবি। অতীতের তিনটি নির্বাচন দেখে মানুষের শঙ্কা আছে স্বচ্ছ হবে কি-না? জনগণের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার সীমাবদ্ধতা আছে। সিইসি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। জামায়াত বলছে, নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সিইসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জীবনের বিনিময়ে হলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের।’’
এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হয়েছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কী করে সেটা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত।’’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/রায়হান/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকারের প্রথম পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে: তারেক রহমান
স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর এখন জনগণের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ইনশাআল্লাহ আগামী রোজার আগে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের অধিকারের প্রথম পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশের সড়কে প্রায় দেড় যুগ পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
দেশের ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করা বিএনপির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে সম্মেলনে তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংস্কার কমিশনে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, যত সংস্কার আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তার অধিকাংশ সংস্কার বিএনপি আড়াই বছর আগেই জাতির সামনে রাষ্ট্র মেরামতের দফা হিসেবে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিল। সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের অধিকাংশ প্রস্তাব বিএনপির দেওয়া রূপরেখার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিএনপিই সর্বপ্রথম দেশের মানুষের সামনে রাষ্ট্র মেরামত দফা হিসেবে পরিচিত ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিল। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশকে যদি সামনে এগিয়ে নিতে হয়, দেশের মানুষের জীবনব্যবস্থার যদি উন্নতি করতে হয়, তাহলে কতগুলো ব্যাপারে রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে।’
আরও পড়ুনতারেক রহমানের ঢাকায় বাড়ি নেই, তাই ভাড়া বাড়ি খুঁজছেন: আবদুস সালাম৫৮ মিনিট আগেক্ষমতায় গেলে বিএনপি রাষ্ট্র মেরামত ও পুনর্গঠনের ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেবে বলে জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার দেশের সব সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে।
দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, একমাত্র আপনাদের প্রিয় দল বিএনপির পক্ষেই সম্ভব ধীরে ধীরে এই দেশকে আবার গড়ে তোলা।’ তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন হলেই হবে না। ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করলেই হবে না। সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। তা না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে, দেশের মানুষ আরও কষ্ট পাবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতা–কর্মীদের একাংশ। আজ রোববার বিকেলে আজ রোববার বিকেলে নগরের পাঠানপাড়া এলাকায়