যুব দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ২০ তরুণ
Published: 11th, August 2025 GMT
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) সফল আত্মকর্মী ও যুব সংগঠকদের পুরস্কার দেওয়া হবে। এবার মোট ২০ জন পুরস্কার পাবেন, যারা নিজেদের উদ্যোগ, সংগ্রাম ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, পুরস্কার দুটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে—সফল আত্মকর্মী এবং যুব সংগঠক। আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে ১৪ জন এবং যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে ৬ জন পুরস্কার পাবেন।
পুরস্কারের ধরন ও মূল্যমান
সফল আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে: জাতীয় পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান (৩ জন, অন্তত ১ জন নারী)।
বিভাগীয় পর্যায়ে ৮ জন (প্রতি বিভাগ থেকে ১ জন)। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ট্রান্সজেন্ডার ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন/অটিস্টিক— প্রতি ক্যাটাগরিতে একটি করে পুরস্কার।
যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে: জাতীয় পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় (৩ জন, অন্তত ১ জন নারী) পুরস্কার দেওয়া হবে। ট্রান্সজেন্ডার, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি করে পুরস্কার।
পুরস্কার হিসেবে থাকছে চেক বা প্রাইজবন্ড, ক্রেস্ট ও সনদপত্র। জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ১ লাখ টাকা। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান ৭৫ হাজার টাকা।
যুব দিবস উপলক্ষে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জন তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪ হাজার ৯৮৫ জন (২ হাজার ৫৩৪ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৪৫১ জন নারী) পেয়েছেন মোট ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার যুব ঋণ।
১ হাজার ৭৬ জন যুবককে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় আত্মকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে খাল ও জলাশয় পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সারা দেশে উদযাপন করা হবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি যুব র্যালি বের হবে। শেষ হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। সকাল ১০টায় শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এবার যুব দিবসের প্রতিপাদ্য হলো—প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তি, বহু প্রার্থী অংশীদারত্বে অগ্রগতি।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় পর য য় য ব দ বস প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী