সাতক্ষীরায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার
Published: 12th, August 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোতালেব হোসেন খাঁ, শ্যামনগর পৌর বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান মফু ও বিএনপি কর্মী সলতে বাবু।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
শিবচরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা, আহত ২৫
বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে গত ২৫ জুলাই শ্যামনগর উপজেলার ওয়ার্ড কাউন্সিল চলার সময়ে ভোট প্রদানে বাধাদানসহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যে কারণে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে উক্ত তিনজনকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলকে ভালোবাসলে দলের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই ওয়ার্ড কউন্সিলকে ঘিরে শ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ওয়ার্ডের কাউন্সিল অধিবেশন বন্ধ করে দেন জেলা বিএনপির নেতারা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ শ য মনগর ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে: মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বিজিবি হবে সীমান্তের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সুপেয় পানির প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপকূলীয় জনপদে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিজিবি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের আওতায় সৌরচালিত গভীর নলকূপ, পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট ও সংরক্ষণ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্গম ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার কারণে উপকূলের মানুষ পানি সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উপকূলীয় মানুষদের প্রধান সমস্যা সুপেয় খাবার পানি।’
পানির প্রকল্প উদ্বোধন শেষ শতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ নওফেল মাহমুদ, সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, শরীফুল ইসলাম, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহরিয়ার রাজীব, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।