নতুন বাংলাদেশে জনগণ বিএনপি-জামায়াত কাউকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটার মোড়ে এক গণসমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

এই মন্তব্যের একটি ফটো কার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। এ পোস্টের ক্যাপশনে নুরকে নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, তেমনি দেশের সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জয় তার পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।   

নুরকে উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, “জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় আমাদের নুর ভাইকে। অবশ্যই উনি যদি ক্ষমতায় আসেন সবচেয়ে খুশি হব আমি। কারণ উনি প্রথম প্রতিবাদী ব্যক্তি তিনি মানুষের কাছে সরল ইমেজ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। কিন্তু জনগণ সম্পর্কে কারো কোনো আইডিয়া নাই।”  

আরো পড়ুন:

ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু

আগামী নির্বাচনের পর কারা সরকার গঠন করবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করে জয় বলেন, “আগামীবার কে যে ক্ষমতায় আসবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। সুস্থ নির্বাচন হলে শতভাগ বিএনপি ছাড়া আর কারো কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আবার ঠিক উল্টাটাও হতে পারে, বিএনপি যা ভাবছে তার উল্টা ঘটনা ফুটে উঠতে পারে এবং এ কথাও বলে দিলাম আমার এলাকায় আমি যদি এমপি  প্রার্থী হই তাহলে সব দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অবশ্যই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে। আর ১৬ বছরের মতো নির্বাচন হলে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভয় পাইয়েন না। কাউকে আন্ডারস্টিমেট কইরেন না।”  

জয়ের পরিবারের অনুমতি ছাড়া তাদের এলাকায় কেউ সংসদ সদস্য হতে পারে না বলে দাবি জয়ের। তার ভাষায়, “আমার দাদা ওই এলাকার তিনবারের এমপি ছিলেন মুসলিম লীগের এবং আমার চাচা ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভোটে দাঁড়াবার আগে আমার দাদিকে সালাম করতেন। আব্দুর রাজ্জাকও সালাম করতেন। বিএনপির কিরণও সালাম করতেন। এই সালাম ছাড়া কেউ আগাতে পারতেন না। আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা। হা হা হা হা হা হা।” 

জয়ের এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের মতো অনেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জয়কে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আহসান হাবিব নামে একজন লেখেন, “আপনি ভোটে দাঁড়ান। আমরা আপনার পাশে আছি!” ইউসুফ মীর খানিকটা সমালোচনা করে লেখেন, “হা নাজিম ভাই সেটাই, সব আপনাদের আমরা শুধু এই দেশে বাতের….

আইছি। এজন্যই এখন নতুনদের প্রয়োজন।” 

আরেকজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, “আপনাকে কেউ চায় কি না সেটা কি জানেন?” এ প্রশ্ন জয়ের নজরে এসেছে। জবাবে বিতর্কিত এই সঞ্চালক লেখেন, “কে চায় কে না চায়, তাতে আমার কি যায় আসে। মানুষ তো আমাকে চায় এলাকার।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ক ষমত ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।

সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’

নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই: রাশেদ খান
  • প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছে: ফারুক
  • নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
  • ১৭ বছর এক অসুর জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল: নিপুন রায় 
  • নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি: আমীর খসরু
  • অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • চাঁদপুরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় এনসিপির নিন্দা
  • রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়: ফরহাদ মজহার
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট