‘আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না’
Published: 12th, August 2025 GMT
নতুন বাংলাদেশে জনগণ বিএনপি-জামায়াত কাউকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটার মোড়ে এক গণসমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এই মন্তব্যের একটি ফটো কার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। এ পোস্টের ক্যাপশনে নুরকে নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, তেমনি দেশের সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জয় তার পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।
নুরকে উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, “জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় আমাদের নুর ভাইকে। অবশ্যই উনি যদি ক্ষমতায় আসেন সবচেয়ে খুশি হব আমি। কারণ উনি প্রথম প্রতিবাদী ব্যক্তি তিনি মানুষের কাছে সরল ইমেজ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। কিন্তু জনগণ সম্পর্কে কারো কোনো আইডিয়া নাই।”
আরো পড়ুন:
ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু
ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু
আগামী নির্বাচনের পর কারা সরকার গঠন করবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করে জয় বলেন, “আগামীবার কে যে ক্ষমতায় আসবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। সুস্থ নির্বাচন হলে শতভাগ বিএনপি ছাড়া আর কারো কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আবার ঠিক উল্টাটাও হতে পারে, বিএনপি যা ভাবছে তার উল্টা ঘটনা ফুটে উঠতে পারে এবং এ কথাও বলে দিলাম আমার এলাকায় আমি যদি এমপি প্রার্থী হই তাহলে সব দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অবশ্যই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে। আর ১৬ বছরের মতো নির্বাচন হলে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভয় পাইয়েন না। কাউকে আন্ডারস্টিমেট কইরেন না।”
জয়ের পরিবারের অনুমতি ছাড়া তাদের এলাকায় কেউ সংসদ সদস্য হতে পারে না বলে দাবি জয়ের। তার ভাষায়, “আমার দাদা ওই এলাকার তিনবারের এমপি ছিলেন মুসলিম লীগের এবং আমার চাচা ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভোটে দাঁড়াবার আগে আমার দাদিকে সালাম করতেন। আব্দুর রাজ্জাকও সালাম করতেন। বিএনপির কিরণও সালাম করতেন। এই সালাম ছাড়া কেউ আগাতে পারতেন না। আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা। হা হা হা হা হা হা।”
জয়ের এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের মতো অনেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জয়কে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আহসান হাবিব নামে একজন লেখেন, “আপনি ভোটে দাঁড়ান। আমরা আপনার পাশে আছি!” ইউসুফ মীর খানিকটা সমালোচনা করে লেখেন, “হা নাজিম ভাই সেটাই, সব আপনাদের আমরা শুধু এই দেশে বাতের….
আরেকজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, “আপনাকে কেউ চায় কি না সেটা কি জানেন?” এ প্রশ্ন জয়ের নজরে এসেছে। জবাবে বিতর্কিত এই সঞ্চালক লেখেন, “কে চায় কে না চায়, তাতে আমার কি যায় আসে। মানুষ তো আমাকে চায় এলাকার।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ক ষমত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জামায়াতের আপত্তি নেই: তাহের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ‘‘জামায়াত নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাতে জামায়াতের আপত্তি নেই।’’
বরিবার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনে যাব, এটা বলে দিয়েছি। সংসদের উচ্চ ও নিম্ন, উভয়কক্ষেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) বাস্তবায়নে আমাদের দাবি আমরা জানিয়ে যাব। প্রয়োজনে আন্দোলনে যাবে জামায়াত।’’
আরো পড়ুন:
‘ফ্যাসিস্ট ফিরে আসলে দাড়ি-টুপিওয়ালা মানুষ বাড়িতে ঘুমাতে পারবে না’
টাঙ্গাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল
বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা সুখকর নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতি প্রয়োজন। পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিন্তু বিশ্বে নতুন নয়। এতে জনগণের ভোটাধিকারের সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে।’’
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জনগণের দাবি। অতীতের তিনটি নির্বাচন দেখে মানুষের শঙ্কা আছে স্বচ্ছ হবে কি-না? জনগণের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার সীমাবদ্ধতা আছে। সিইসি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। জামায়াত বলছে, নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সিইসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জীবনের বিনিময়ে হলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের।’’
এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হয়েছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কী করে সেটা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত।’’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/রায়হান/বকুল