কাঠগড়ায় কাঁদলেন এনবিআরের সেই মতিউর, আদালত বললেন, ‘দুদকের জালে এখন হাজার মতিউর’
Published: 12th, August 2025 GMT
গত বছরের কোরবানি ঈদের আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তার এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে আজ আদালতে দেখা গেল ভিন্ন রূপে।
আসামির কাঠগড়ায় একটি বেঞ্চে তিনি বসে ছিলেন। মুখে তাঁর লম্বা দাড়ি। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকা। মতিউর যে বেঞ্চে বসে ছিলেন, সেই বেঞ্চের এক প্রান্তে বসেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। সময় তখন বেলা ১২টা ১০ মিনিট।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো.
শুরুতে মতিউরের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার মক্কেল মতিউর এবং তাঁর স্ত্রী কয়েক মাস ধরে কারাগারে আছেন। তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার। জামিন দিলে পলাতক হবেন না।’
আইনজীবীর বক্তব্যের পর মতিউর রহমান নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। এক পর্যায়ে মতিউর রহমানের আইনজীবীও মতিউরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক আবেদন করেন।
আদালত অনুমতি দেওয়ার পর মতিউর আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেন। মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠিতে আমি জানিয়েছি, কীভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
মতিউর রহমানের এই বক্তব্যের পর আদালত বলেন, ‘যখন এটি আদালতে জমা দেওয়া হবে, তখন আমি পড়ব।’
এ সময় মতিউর রহমান তাঁর হাতে থাকা একটি চিঠি আদালতে জমা দেন।
আদালতের কাছে চিঠিটি জমা দেওয়ার পর মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, কাস্টমস কর্মকর্তা থাকাকালে একজন সামরিক কর্মকর্তার রোষানলে আমি পড়ি। সেই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।’
হাজতখানা থেকে বের করে আদালতে নেওয়া হচ্ছে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে