বিসিএসে অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
Published: 13th, August 2025 GMT
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অন্যান্য বিভাগের অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় বাণিজ্য অনুষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় তাদের ‘বিভাগ যার, ক্যাডার তার’, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার, আমাদের অধিকার’, ‘জুলাইয়ের চেতনা, স্বজনপ্রীতি মানি না’, ‘পিএসসির প্রহসন, মানি না মানবো না’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বতন্ত্র ক্যাডার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহ মেডিকেলের হোস্টেল থেকে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, চিরকুট জব্দ
উত্তরবঙ্গের রেলপথ আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.
একই বিভাগের ২৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা শারমীন আঁখি বলেন, “অনেক শিক্ষার্থী ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হয় এটা জেনে যে, এই বিভাগে শিক্ষা ক্যাডার আছে। একজন শিক্ষার্থী ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে সে শিক্ষা ক্যাডারে চাকরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেরাটা দিতে পারে, যা অন্য বিভাগ থেকে আসা কেউ পারবে না।”
তিনি বলেন, “পিএসসি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন। আমরা এ প্রহসনের বিরুদ্ধে আজ আমাদের বিভাগের সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা মিলে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই অতিদ্রুত পিএসসি তাদের এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।”
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা খানম বলেন, “৫৪ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য অনুষদের যাত্রা শুরু করেছিল দুইটি মৌলিক বিষয় ব্যবস্থাপনা ও হিসাববিজ্ঞান নিয়ে। সেই দুটি বিষয় ছাড়াও যুগের প্রয়োজনে আরো দুটি মৌলিক বিষয় এই অনুষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমরা জানি যুগের প্রয়োজনে নতুন বিষয় সংযুক্ত করতে হয়। তার মানে কি এই, ব্যবস্থাপনা তার সক্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে? তার মানে কি এটাই যে ব্যবস্থাপনা মৌলিক বিষয় নয়?”
তিনি বলেন, “আমার প্রশ্ন তারা কোন স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছে? তারা কার সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়গুলো যুক্ত করেছে? তাদের এই হটকারি সিদ্ধান্তে কেনো দায়বদ্ধ থাকবে না? তারা কোন কাগজের ভিত্তিতে এটা করলেন তাদের জবাব দিতে হবে। তারা এখনো পর্যন্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেন নাই।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা পিএসসির কাছে জানতে চাই, তারা আমাদের দাবি মানবে কি মানবে না? যদি তারা দাবি না মানে, তাহলে যেখানে যেখানে আমাদের যাওয়া প্রয়োজন, যা যা করা প্রয়োজন, তাই তাই আমরা করবো। যারা আমাদের আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছেন, তাদের কাছে সব জবাব চাইব। পিএসসি আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।”
একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মইনুদ্দিন মাহমুদ বলেন, “পিএসসি এক সপ্তাহের ব্যবধানে নোটিশ পরিবর্তন করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি আমাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। এখানে কোনো দলের আধিপত্য কাজ করছে বলে মনে করি না। পিএসসিকে এই ঘটকারীমূলক সিদ্ধান্ত এখনই স্থগিত করতে হবে। প্রশাসন যদি এটাকে সুন্দরভাবে সমাধান করেন, তাহলে আমরা আমাদের ক্লাসে ফিরে যাব।”
তিনি বলেন, “আমরা কোনো অশ্লীলতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আসিনি এখানে। তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে, না হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। এটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি নয়, এটা বাংলাদেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই এই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য স বতন ত র প রহসন আম দ র প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে