চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামুচা সীমান্ত দিয়ে আবারও ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে তাঁদের ঠেলে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, চামুচা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওই ১৩ জনকে ঠেলে পাঠান বিএসএফ-১১৯ ব্যাটালিয়নের অধীন কাঞ্চান্টার ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাঁদের বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে আটক করেন চাঁনশিকারি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। আটক ব্যক্তিদের বাড়ি যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, রংপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিজিবি তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা ২০২৩-২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে ভারতে যান। পরে ভারতীয় পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর পুলিশ তাঁদের সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানোর জন্য বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।

আটক ১৩ জনকে পরে ভোলাহাট থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এর আগে ২ জুন ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারি সীমান্ত দিয়ে আরও আটজনকে ঠেল পাঠায় বিএসএফ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৩ জনক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ