পিঠ চাপড়ে দিব্যকে আদর করে দিলেন আমির খান
Published: 14th, August 2025 GMT
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’কে সামনে পেয়ে কার না হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়! অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের রাস্তায় এমনই এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তের মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা দিব্য জ্যোতি। স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সঙ্গে পরিচয়, প্রাণখোলা আলাপ, আর শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজের কথা শুনে পিঠ চাপড়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি—যা দিব্যর শিল্পীজীবনের স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যমে আমির খানের সঙ্গে দিব্য জ্যোতির একটি ছবি শেয়ার করেছেন শাহনাজ খুশি।
সেই ছবিতে দেখা যায়, আমির খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দিব্য। কাঁধে ব্যাগ, পরনে শার্টের ওপরে ফুল স্লিভ সোয়েটার। এদিকে আমির খানের পরনে কালো কুর্তা, সাদা পাজামা।
আরো পড়ুন:
এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
গান হলো কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো হলো না অলকার
স্বপ্নের নায়ককে কাছে পেয়ে কথা বলেছেন, ছবি তোলারও সুযোগ হাতছাড়া করেননি দিব্য। শাহনাজ খুশি লিখেছেন, "অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে রাস্তায় দিব্যর স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সাথে হঠাৎ দেখা! অতঃপর বাংলাদেশের অভিনেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া, কথা বলা।"
ভারতের নন্দিত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজের সুযোগ হয়েছে দিব্যর। সে কথা শোনার পর ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ অন্যরকম আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলেও জানালেন খুশি।
শাহনাজ খুশি লিখেছেন, "মুম্বাইয়ে শ্যাম বেনেগাল স্যারের সাথে কাজের কথা শুনে অত্যন্ত আন্তরিকভাব দেখিয়েছেন আমির খান। সেই সঙ্গে দিব্যর পিঠ চাপড়ে আদর করে দিয়েছেন! কারণ, বেনেগাল স্যারের অতিশয় ভক্ত এবং তার জন্য গর্বিতও আমির খানও।"
শেষে তিনি লিখেছেন, "অচেনা-অখ্যাত একজন শিল্পীর প্রতি আমির খানের মতো একজন শিল্পীর এমন বিনয় নিঃশ্চয় দিব্যর জন্যও শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।"
নাট্যকার-অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির জমজ দুই সন্তান। একজনের নাম সৌম্য জ্যোতি, অন্যজন দিব্য জ্যোতি। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা এখন নাটক, ওটিটি ও সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। মা-বাবার মতো হয়ে উঠেছেন শোবিজের প্রিয়মুখ।
ঢাকা/রাহাত/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন শ হন জ খ শ আম র খ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
পিএসজিকে বিদায় দোন্নারুম্মার, এনরিকে বললেন ‘আমি দায়ী’
পিএসজি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন দোন্নারুম্মা। বুধবার টটেনহামের বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপের জন্য ঘোষিত পিএসজির স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের এ সিদ্ধান্ত জানান।
আবেগঘন এক পোস্টে দোন্নারুম্মা লিখেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই দলে জায়গা পেতে এবং প্যারিসের গোলপোস্ট রক্ষায় মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি আর দলের অংশ হতে পারব না এবং দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। এতে আমি হতাশ ও বেদনাহত।’ এ কারণেই দোন্নারুম্মা পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক জানান, দোন্নারুম্মাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য তিনিই শতভাগ দায়ী। তাঁর ভাষায়, ‘দোন্নারুম্মা বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের একজন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষ হিসেবে তিনি আরও ভালো। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের জীবন এমনই। আমি এ সিদ্ধান্তের জন্য শতভাগ দায়ী। দলে যে প্রোফাইলের গোলরক্ষক প্রয়োজন, সেই চাহিদার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নায়ক দোন্নারুম্মা কি পিএসজি ছাড়ছেন১২ আগস্ট ২০২৫গত শনিবার পিএসজি লিল থেকে গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে কিনেছে। ইএসপিএন জানিয়েছে, ৪ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি ও অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর সম্ভাব্য বোনাস মিলিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, শেভালিয়েকে আনা হয়েছে ক্লাবের নতুন নাম্বার ওয়ান গোলকিপার হিসেবে। ফলে পিএসজিও চাচ্ছিল দোন্নারুম্মা যেন অন্য কোথাও নিজের ঠিকানা খুঁজে নেন।
চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলান—এই তিন ক্লাব এরই মধ্যে দোন্নারুম্মার এজেন্ট এনজো রাইওলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। পিএসজি আশা করছে, এর মধ্যে কোনো একটি দল আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে।
২৬ বছর বয়সী দোন্নারুম্মার সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে বাকি মাত্র এক বছর। তিনি চুক্তি নবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি। মাসে ৮ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বেতন পাওয়া এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক আরও বেশি পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। কিন্তু গত দুই বছরে ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস যে নতুন বেতনকাঠামো চালু করেছেন, সে কাঠামো অনুযায়ী দোন্নারুম্মার প্রস্তাব পিএসজি গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন০৩ আগস্ট ২০২৫গত মৌসুমে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত সেভ করে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে বড় অবদান রেখেছেন দোন্নারুম্মা। তবে এরপরও কোচ লুইস এনরিকে চাইছিলেন এমন এক গোলরক্ষক, যিনি বল পায়ে বেশি স্বচ্ছন্দ ও বল সরবরাহে দক্ষ। এ গুণগুলোই শেভালিয়ের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন স্প্যানিশ এই কোচ।
সেরা গোলকিপারের ইয়াশিন ট্রফিও জিতেছিলেন দোন্নারুম্মা।