জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির (জবিরিইউ) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জবি প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি এবং নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. জাহিদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (১৭ আগস্ট) সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইমতিয়াজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আবু হানিফ, রিসাত রহমান, সদ্য সাবেক সভাপতি অমৃত রায় এবং সদ্য সাধারণ সম্পাদক উম্মে রাহনুমা রাদিয়া নতুন এ কমিটির অনুমোদন দেন।

এছাড়া অন্যান্য পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, সহ-সভাপতি মো.

শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হাসিব সরদার এবং কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন রাফিদ আদ-দ্বীন রাঈম, শ্রীকান্ত সূত্রধর, পলি আক্তার ও সৃজন সাহা।

নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য গর্বের ও দায়িত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে আরো বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল পথে এগিয়ে নিতে চাই।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল হাসান বলেন, “এটি শুধু একটি পদ নয়, বরং ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার স্বপ্নকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন যাত্রা। সাংবাদিকতা শুধু খবর নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। আমি চেষ্টা করব সংবাদ পরিবেশনায় মান উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন এবং সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাজি হয়েছেন পুতিন: ট্রাম্পের দূত

ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজি হয়েছেন। রোববার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। এটিকে মোড় বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠক করেন ট্রাম্প ও পুতিন। ওই বৈঠক থেকে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এমন কিছু ঘটেনি। কোনো চুক্তি ছাড়াই মস্কো ফিরে যান পুতিন। আর কয়েক দিন আগেও দ্রুত যুদ্ধবিরতির কথা বলা ট্রাম্প সুর বদলে বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি রাশিয়া ও ইউক্রেনকে করতে হবে।

এরপর সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখানে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা যোগ দেবেন। তাঁদের আহ্বান—যুদ্ধ বন্ধের কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে যেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে পুতিনের রাজি হওয়ার বিষয়টি সামনে আনলেন উইটকফ। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়েছেন পুতিন। একে আমি মোড় বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করব।’

উইটকফ বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলো অনুচ্ছেদ–৫–এর মতো ভাষা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।’ অনুচ্ছেদ–৫ বলতে উইটকফ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিধানের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা বুঝিয়েছেন।

এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্যদেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। অনেক আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন। তবে এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাশিয়ার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা।

সোমবার ট্রাম্প–জেলেনস্কি বৈঠক থেকে ভালো কিছুর আশা করছেন স্টিভ উইটকফ। তিনি বলেন, আলাস্কা থেকে ফেরার পথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খুঁটিনাটি আলাপ হয়েছে। ওয়াশিংটনে সোমবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ