শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এদিকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করা হলেও শিক্ষকের লাঞ্ছিতের ঘটনাকে সামনে রেখে কম্পিলিট শাটডাউন ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

অন্যদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। এ অবস্থায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম।

আরো পড়ুন:

২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

রাকসু ভোট নিয়ে উপাচার্য: পর্দার আড়ালে অনেক মেকানিজম হচ্ছে

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে এক ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, প্রার্থী ও সমর্থকরা ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত। এমন এক সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা এবং পরবর্তী অচলাবস্থা সন্দেহজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা মনে করছেন, এ ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাকসু নির্বাচন বানচালের একটি পরিকল্পনা কাজ করছে।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত রয়েছে— রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে এ আন্দোলনের ডাক দেন তারা।

এর আগে, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সালেহ্ হাসান নকীবের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।

এদিকে, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তেও আস্থা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তাদের দাবি কিছুটা মানা হলেও আন্দোলনে অনঢ় রয়েছেন তারা।

প্রথমে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি ছিল, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় যেসব ছাত্র জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা এবং পোষ্য কোটা বহাল রাখা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জরুরি সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করেন এবং সেখানে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রশাসন এবং পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল না করে আপাতত স্থগিত করা হয়।

শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির আলোকে সিদ্ধান্ত এলেও কেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন- এমন প্রশ্ন এখন সকলের মাঝে। তাহলে কি তারা শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনাকে সামনে রেখে কোনো একটি উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন?  শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে অনিশ্চয়তায় পড়ছে রাকসু নির্বাচন এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রার্থী ও ভোটাররা।

অন্যদিকে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে কর্মবিরতিতে থাকবেন তারা।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, কর্মকর্তাদের কমপ্লিট শাটডাউনে ঘোষণা জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের কাছে পাঠানো হয়নি কোনো অফিশিয়াল চিঠি। ফলে সকাল থেকে কর্মস্থলে কর্তব্য পালন করছেন তারা। প্রশ্ন তাহলে কারা ডেকেছেন এ আন্দোলন?

শিক্ষার্থীদের রাকসুর আমেজ নষ্ট করতেই এ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাকসুর প্রার্থীরা।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এমন এক কর্মকর্তার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, পোষ্য কোটার বিষয়টি আদালতে রিট করা হয়েছে। একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবশ্যই আসবে। তবে রাকসুকে সামনে রেখে এমন আন্দোলন যৌক্তিক না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা হয়েও আন্দোলনে অংশগ্রহণের ডাক পাইনি। তাহলে কি এটি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আয়োজনের আন্দোলন—যারা রাকসু বানচালের জন্য এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তারা ভাবছেন এ আন্দোলন ডাক দিলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরাও চলে যাবে আর এদিকে বন্ধ হয়ে যাবে রাকসু এটাই তাদের আসল উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে তার কাছে।

তিনি আরো জানান, তারা শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার চেয়েছিলেন, সেটা নিয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের আলোকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত কিন্তু বাতিল না করে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তাহলে কেন এ আন্দোলনের ডাক?

তিনি সাংবাদিকদের এর পিছনের কারণ বের করার অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি গতকালও অফিস করেছেন, আজো করছেন এবং আগামীকালও করবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসার সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “‌সিন্ডিকেটে পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় আমরা হতাশ। এছাড়াও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটির দিকে আমাদের বিশ্বাস নেই। আমরা দ্রুত ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল চাই। রাকসু রাকসুর মতোই অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু বানচালের নিয়ে যারা কথা তুলছেন, সেটা অবশ্যই অবান্তর।”

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির ফলে স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে পরীক্ষাসহ রুটিন ক্লাস বন্ধ থাকছে এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তবে থেমে নেই রাকসুর প্রচারণা। সকাল থেকেই প্রার্থীদের পুরোদমে প্রচারণা করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল মনোনীত রাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, “পোষ্য কোটা ইস্যুতে রাকসুকে বানচালের চেষ্টা করছে একটি মহল। তাদের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এ আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া এবং সেটি হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা কিন্তু অনেকেই বাসায় চলে যাচ্ছেন। আমরা এই মুহূর্তে নির্বাচন চাই না। যাদের কেন্দ্র করে নির্বাচন, তাদের নিয়েই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করুক নির্বাচন কমিশন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদিপত্যবিরোধী ঐক্যজোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, তারা একদিকে চাচ্ছেন পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনতে, অন্যদিকে করছেন রাকসু বানচালের পায়তারা। কারণ তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর রাকসু নির্বাচনে লড়ার সেই কনফিডেন্সটুকু নেই বলে আমি মনে করি। তারা পুরো ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন। কারণ শিক্ষার্থীরা যেন বাসায় চলে যান এবং সেটাই হচ্ছে। তবে তাদের ষড়যন্ত্র শিক্ষার্থীরা বুঝে ফেলেছে। রাবি শিক্ষার্থীরা অবশ্যই রাকসু নির্বাচন সঠিক সময়ে আদায় করে নেবে।”

ছাত্রশিবির মনোনীত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের রাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন প্রশাসন। এর পরেও তারা কেন এমন করছেন সেটা সবারই বোধগম্য। পোষ্য কোটার ফিরিয়ে আনার চেয়েও রাকসু বানচাল নিয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন কিছু সংখ্যাক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তবে রাকসু বানচালের ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত তা শিক্ষার্থীদের বুঝতে আর বাকি নেই বলে আমি মনে করি।”

বামপন্থি সংগঠনের ভিপি পদপ্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, “আমরা সবসময় উৎসব মুখর পরিবেশে রাকসু নির্বাচন চেয়েছিলাম। রাকসু নির্বাচন যদি পিছানো হয় তাহলে আগেই তফসিল ঘোষণা দিয়ে আমাদের জানাতে হবে। রাকসু বানচাল ও ষড়যন্ত্র শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”

এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউট্যাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু বলেন, “আমরা রাকসু নিয়ে কথা বলতে চাই না। রাকসু নির্বাচন আমাদের এখতিয়ারে নেই। শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ায় আমরা আজ মানববন্ধন করেছি। এ আন্দোলনের ফলে একদল হয়তো বলছে রাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে, যা অবান্তর ও ভিত্তিহীন। আমরা চাই আমাদের শিক্ষকের উপর হামলা হয়েছে, সেটি নিয়েই থাকতে।”

রাকসু বানচালের বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কারা নির্বাচন চাচ্ছেন, কারা চাচ্ছেন না- সে বিষয়ে আমরা কিছু বলবো না। আমরা চাই সঠিক সময়ে রাকসু নির্বাচন। তবে শিক্ষক কর্মকর্তাদের আন্দোলনে রাকসু নির্বাচনে প্রভাব পড়ছে। কমপ্লিট শাটডাউনে থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেকেই বাসায় যাচ্ছেন। এ বিষয়টি খুব চিন্তার ও উদ্যেগের। তবুও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ঞ ছ ত র ঘটন ক ক কর মকর ত ক ন দ র কর ষড়যন ত র আম দ র স গঠন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে : রাজিব

‎আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ -৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব।

‎বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোগনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরসৈয়দপুরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় তিনি লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

‎এসময় সাধারণ জনগণ, স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী ও বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এবং আগামী নির্বাচনে “ধানের শীষ” মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন বিএনপি নেতা রাজিব।

‎এসময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, বিএনপি এদেশে গণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র আস্থা ও বিশ্বাস থেকে এ দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে ইনশাল্লাহ।

ধানের শীষের প্রচারণা করতে গিয়ে আমরা সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান জাতির কাছে যে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার মেরামতের ঘোষণা করেছেন আমরা সেগুলো সাধারণ জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উপস্থাপন করছি। 

আগামী নির্বাচনে যদি জনগণের ভোটে দ্বারা বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে তাহলে দেশের জনগণ ও দেশের জন্য কি করতে চায় সেগুলো আমরা ৩১ দফার মাধ্যমে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বুঝে দিতে আমরা সক্ষম হচ্ছি। ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে আমরা ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

‎তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে আমাদের বিএনপির অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আমাদের দলের আদর্শ হলো ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের প্রতি আমাদের পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। উনি যে সিদ্ধান্ত নিবে তার দেশ ও জনগণের স্বার্থেই নিবেন। কারণ  নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সাথে অনেক দলই যুগপৎ আন্দোলন ও শরিকদল হিসেবে পাশে ছিল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্য জাতীয় ভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক জায়গায় ছাড় দিবে বলে উনি চিন্তা করছেন।

আমরা এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর উনার প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে উনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা দল ও দেশের কথা চিন্তা করেই নিবেন।

যেখানে দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে উনি সিদ্ধান্ত নেবেন সেই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাবো। সুতরাং যেখানে দল সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে আমাদের ব্যক্তির কোন স্বার্থ নেই। সুতরাং যাকে মনোনয়ন দিবে এবং বিএনপি সমর্থন করবে আমরা তার পক্ষে কাজ করে ধানের শীষের বিজয়কে নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

‎লিফলেট ও গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ আলম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ জব্বার,সদস্য শোভন, সোহেল ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, যুবদল নেতা নাজমুল হাসান, জাহিদুল হাসান, আরিফ হোসেনসহ জেলা বিএনপি এবং গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে : রাজিব
  • সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতা আটক