রাবিতে বহাল থাকছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন
Published: 23rd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি জানায়, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড.
আরো পড়ুন:
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় ছাত্রদের একটি গোষ্ঠী তার গাড়ি আটকে দেয়, জোরপূর্বক তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং অশোভন আচরণ করে। অভিযুক্ত ছাত্ররা তার গাড়ির ওপর টাকা ছুঁড়ে দেয় এবং প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে দেন।
তিনি হেঁটে জুবেরী ভবনের দিকে রওনা দিলে সেসময় ছাত্রদের ওই দল তার ওপর এবং তার সঙ্গে থাকা প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের ‘ছাত্র নামক সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা জানান, সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এর আগে, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন চলে। সব ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
ঢাকা/ফাহিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর কর মকর ত র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
সিলেট চেম্বারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের জেল রোড মোড়ে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর বিকেলে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে নির্বাচনের জন্য দোয়া মাহফিলও করেছেন এসব ব্যবসায়ী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি মহল সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বিগত দিনের মতো বিনা ভোটে চেম্বার পরিচালনার সুযোগ চান তাঁরা। তবে দুটি প্যানেলের নেতারা চেম্বারে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য দ্রুত নির্বাচন চান। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আদালত থেকেও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও অদৃশ্য কারণে নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সংকটে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী খন্দকার শিপার আহমদ, এহতেশামুল হক চৌধুরী, আবদুর রহমান রিপন, মোতাহার হোসেন, আবদুল হাদী, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, মো. ইমরান হোসাইন, মো. আবুল কালাম, মো. মাজহারুল হক, মো. নাহিদুর রহমান, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
এদিকে সিলেটের সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা দোয়া মাহফিল শেষে বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ব্যবসায়ী মহলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সিলেটের বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, ব্যবসায়ী ফাহিম আহমদ চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, মাসুম ইফতিখার রসুল সিহাব, মনজুর আহমদ, হুসেন আহমদ, তাহমিদ হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক সাঈদা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে হিসাবে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের ব্যবসায়ীরা আদালতের শরণাপন্ন হন। নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই, এমন নির্দেশনা দেন আদালত।