পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লাখ আনসার-ভিডিপি
Published: 23rd, September 2025 GMT
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন সারাদেশের ৩১,৫৭৬ পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন দুই লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনসার সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বিশাল নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং আনসার-ভিডিপি সদস্যদের যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা, আন্তরিকতা এবং জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরো পড়ুন:
ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে সেনা মেতায়েন চায় সনাতনী জোট
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে পাঠানো হলো ৫০০ কেজি চিনিগুঁড়া চাল
বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণ দিয়ে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত ‘এভিএমআইএস’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের রেজিস্ট্রেশন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। উৎসবকালীন দায়িত্ব পালনে যথাযথতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাহিনীতে ‘এসটিডিএম’ সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এছাড়া, পূজা উৎসবে কুচক্রী মহলের গুজব প্রতিরোধ এবং যেকোনো অশুভ শক্তি মোকাবেলায় ডিউটিরত সদস্যদের জন্য ‘ইনসিডেন্ট রিপোর্ট’ কার্যক্রম চালু হওয়ায় নিরাপত্তা পরিধি আরো শক্তিশালী হয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও দায়বদ্ধতাকে যেকোনো প্রভাবমুক্ত রাখার ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তর থেকে আরো জানানো হয়, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন, যারা নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।
এবারের নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে মোতায়েনকৃত সদস্যরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ ব্যবহার করে দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/এমআর/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আনস র ভ ড প সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ নিয়ে আসছেন বুবলী-আদর
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী। এর আগে আদর আজাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হয়েছেন। ফের জুটি বেঁধে অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই যুগল। ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ শিরোনামের সিনেমাটি পরিচালনা করবেন জাহিদ হোসেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
জাহিদ হোসেন জানান, ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ মূলত প্রেমের গল্পের সিনেমা। তবে এটিকে শুধু প্রেমকাহিনিও বলতে নারাজ। প্রেমের গল্পের পাশাপাশি পুরান ঢাকার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিও উঠে আসবে সিনেমাটির গল্পে।
আরো পড়ুন:
শাকিবের ‘রহস্যময়’ বার্তা
বুবলীর যত লুক
পরিচালক জাহিদ হোসেন বলেন, “জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের ভাষা, সমাজ–সংস্কৃতিভিত্তিক চলচ্চিত্র বিরল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন বিষয়ের চলচ্চিত্রের সমাদর যথেষ্ট। সমাজ, ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন হচ্ছে পুরান ঢাকা। রয়েছে হাজার বছরের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য ও সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের গৌরবোজ্জ্বল চিত্র। এখানে সবাই মিলে সাকরাইন, ঈদ, মহররম, নববর্ষ, ব্যবসা-বাণিজ্যের হালখাতা, পূজাপার্বণ উদ্যাপন করে। আরো অনেক সংস্কৃতি আছে, যা এখনকার প্রজন্মের অনেকেই জানে না। এসব সংস্কৃতিও উঠে আসবে দুটি মানুষের গল্পের মাধ্যমে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে নির্মাতা বলেন, “ঢাকাবাসীদের নবজাতক আগমনের নানা উৎসব ও কালচার থাকবে সিনেমাটিতে। মেয়েদের নাক-কান ফোঁড়ানো থেকে ছেলেদের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান, মাজার শরিফ জিয়ারতসহ শিয়াদের হোসনি দালানের বৈচিত্র্যময় অধ্যায়—সব নিয়েই আমাদের চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’।”
ঢাকাবাসীর জন্ম-মৃত্যু, বিয়েসহ পারিবারিক নানা বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি-কালচার থাকবে সিনেমাটিতে। নববর্ষের গান, কাসিদা, কাওয়ালি, হিজড়া সম্প্রদায়ের গানসহ শিয়াদের শোকের গান। চলচ্চিত্রের নায়ক–নায়িকাসহ পুরান ঢাকার তরুণ–তরুণীদের প্রেম–ভালোবাসার ছন্দময় সংগীত থাকবে চলচ্চিত্রটিতে থাকবে বলেও জানান এই নির্মাতা।
আদর-বুবলী ছাড়াও এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন—তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। আগামী জানুয়ারিতে সাকরাইন উৎসবের সময়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিবেশনায় থাকছে এক্সেল ফিল্মস ও রেভুলেশন মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকা/শান্ত