বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
Published: 23rd, September 2025 GMT
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইতোমধ্যে টস হয়েছে। টস জিতেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগা। তিনি অবশ্য বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও আগে বোলিং নিতেন। শ্রীলঙ্কা দলে আজ দুটি পরিবর্তন এসেছে। দুনিথ ভেল্লালাগে ও মিশরার জায়গায় এসেছেন করুণারত্নে ও মহেশ থিকশানা। পাকিস্তান অবশ্য অপরিবর্তিন একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে।
সুপার ফোরে উভয় দলই তাদের প্রথম ম্যাচে হার মেনেছে। শ্রীলঙ্কা হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। আর পাকিস্তান হেরেছে ভারতের কাছে। তাই এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্য বাঁচা-মরার। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা টিকে থাকবে ফাইনালের রেসে। আর যারা হারবে তাদের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:
আবারও সভাপতি হয়ে যা যা করতে চান সৌরভ
বিসিসিআই সভাপতি হচ্ছেন মিঠুন মানহাস
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রণ ও দাগ: কেন হয়, চিকিৎসা ও করণীয় নিয়ে পরামর্শ
ব্রণের জন্য আধুনিক চিকিৎসা যেমন লেজার বা কেমিক্যাল পিলিং খুবই কার্যকর। এগুলোর মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রণের দাগ কমানো সম্ভব। তবে চিকিৎসা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এবং সঠিক জায়গা থেকে নিতে হবে। কারণ, যত্রতত্র লেজার সেন্টার বা পারলারে ভুল চিকিৎসা ডেকে আনতে পারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি।
‘সুস্থ ত্বকের গল্প’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় কথাগুলো বলেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির। প্রথম আলো ডটকম ও এসকেএফ ডার্মাটোলজির যৌথ উদ্যোগে এই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুরাইয়া আহমেদ।
ব্রণের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় থাকেন এবং এর চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা ও সতর্কতার অভাব। তাই আলোচনার এ পর্বে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন ডা. শারমিন কবির। পর্বটি গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলোজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।
ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
আলোচনার শুরুতেই উপস্থাপক জানতে চান, ব্রণ আসলে কী ধরনের ইনফেকশন? এটি কি ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
উত্তরে ডা. শারমিন কবির বলেন, ব্রণ মূলত একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যা প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়। তবে আজকাল ‘ফাঙ্গাল একনি’ বলেও একধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস উভয় থেকেই হতে পারে। এ ছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবে ত্বকের নিচে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
ব্রণ কার হয়, কেন হয়
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কাদের ব্রণ বেশি হয় এবং কেন হয়? জানতে চাইলে, অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, ‘ব্রণ ছেলে ও মেয়ে সবারই হয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মেয়েদের মধ্যে কিছুটা বেশি দেখা যায়। বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হওয়ার কারণে এই সময়ে ব্রণ বেশি হয়। তবে এটি বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মধ্য বয়স পর্যন্ত যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া খুব গরম ও আর্দ্র। এই আবহাওয়ার সঙ্গে কি ব্রণের কোনো সম্পর্ক রয়েছে? এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, আবহাওয়ার সঙ্গে ব্রণের সম্পর্ক আছে। আমাদের দেশে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন একটি ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক জানতে চান, তৈলাক্ত ত্বকে কি ব্রণ বেশি হয়?
উত্তরে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ, প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস তৈলাক্ত ত্বকে বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে ব্রণ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটো কারণেই হতে পারে। বাহ্যিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকে বিভিন্ন রং ফরসাকারী ক্রিম এবং স্টেরয়েডজাতীয় ক্রিমের ব্যবহার। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন রাত জেগে ফোন চালানো বা জাঙ্ক ফুড খাওয়াও ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। আর অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হরমোনজনিত সমস্যা, বিশেষ করে মেয়েদের পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম)। এ ছাড়া হাইপারথাইরয়েডিজম, কুশিং সিনড্রোম, অ্যাডেনোমার মতো কিছু রোগের কারণেও ব্রণ হতে পারে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ব্রণের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে।
অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির আরও বলেন, সবার ত্বকের ধরন আলাদা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা না বুঝেই বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করে থাকি কিংবা ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোঁচাই, যা মোটেও ঠিক নয়। এতে ব্রণ সেরে যাওয়ার পর যে দাগ বা স্কার হয়, যেগুলো সহজে যায় না।
ত্বক সুস্থ রাখতে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির