ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিশ্বশক্তিগুলোকে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার প্রেনিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বাইরে যুদ্ধ সম্প্রসারণের চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন।

১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে বুধবার জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধটি ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করতে সাহায্য করেছে এবং ইউক্রেন তার অস্ত্র মিত্রদের কাছে রপ্তানি উন্মুক্ত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেছেন, “ঘটনাটি সহজ, এই যুদ্ধ বন্ধ করা .

.. যা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর জন্য ভূগর্ভস্থ কিন্ডারগার্টেন বা বিশাল বাঙ্কার তৈরির চেয়ে সস্তা।”

ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়াতে রাশিয়ার ড্রোন এবং যুদ্ধবিমানের কথিত আকাশসীমা লঙ্ঘনের দিকে ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেছেন, “রাশিয়ার ড্রোন ইতিমধ্যেই ইউরোপজুড়ে উড়ছে এবং রাশিয়ার অভিযান ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। পুতিন এই যুদ্ধকে সম্প্রসারিত করে চালিয়ে যেতে চান এবং কেউ এখনই নিরাপদ বোধ করতে পারে না।”

জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন তার অস্ত্র মিত্রদের কাছে রপ্তানি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিরক্ষা উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতা প্রথম থেকে শুরু করার দরকার নেই। আমরা ইতিমধ্যে যা প্রমাণিত হয়েছে তা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের আধুনিক অস্ত্রগুলোকে আপনাদের আধুনিক নিরাপত্তায় পরিণত করতে প্রস্তুত। আমরা অস্ত্র রপ্তানি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং এগুরো এমন শক্তিশালী ব্যবস্থা যা একটি বাস্তব যুদ্ধে পরীক্ষিত হয়েছিল যখন প্রতিটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয়েছিল।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্সের দূত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন বলেছেন, আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশও থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন ওফার ব্রনসটাইন। সেখানে আল–জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল সরকার অনেক বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে দুই পক্ষের কেউই কোনো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিচ্ছে না।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।’

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে যুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোসহ আরও অনেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে। কিন্তু তারা এটি স্বীকার করতে চায় না। বরং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।’

আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প ২২ ঘণ্টা আগে

ওফার ব্রনসটাইন আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি হামাসকে তাদের কাছে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি এটি না করে, তাহলে এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগের দিন সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ