খরচ বাঁচায় ক্রেডিট কার্ডের গ্রেস পিরিয়ড, সুবিধাগুলো কী কী
Published: 25th, September 2025 GMT
বাংলাদেশে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড সেবা। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করলে তাৎক্ষণিক বিল পরিশোধ করতে হয় না। ব্যাংকভেদে বিল পরিশোধের জন্য ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। এই সময়ে কোনো সুদ বাবদ টাকা গুনতে হয় না, যা ক্রেডিট কার্ডে গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে পরিচিত।
গ্রেস পিরিয়ড হলো একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা, যেখানে আপনি বকেয়া বিল সম্পূর্ণ পরিশোধ করলে কোনো সুদ ছাড়াই ঋণ ব্যবহার করতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারলে আপনি সুদ এড়িয়ে চলতে পারেন, যা আপনাকে বাড়তি খরচ থেকে বাঁচাবে। এটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের একটি প্রধান সুবিধা। এটি আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে। আপনাকে ঋণের চাপ থেকে কিছুদিন মুক্ত রাখে।
জানা গেছে, এই পর্যন্ত ৫৪ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্রেডিট কার্ড লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই মাসে ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে।
গ্রেস পিরিয়ড কীভাবে কাজ করেপ্রতিবার কার্ড ব্যবহারের পর একটি বিবরণী আসে। এই বিবরণীতে বিল পরিশোধের একটি শেষ তারিখ উল্লেখ থাকে। এই তারিখ থেকে পরবর্তী ৪৫ দিন পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাংকভেদে এই সময়সীমা কমবেশি হয়। যদি আপনি আপনার আগের মাসের বকেয়া বহন না করেন এবং এই সময়ের মধ্যে আপনার সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করেন, তাহলে নতুন কেনাকাটার ওপর কোনো সুদ প্রযোজ্য হবে না। যদি আপনি পুরো বিল পরিশোধ না করেন, তবে আপনি গ্রেস পিরিয়ড হারাবেন ও পরবর্তী বিলের সঙ্গে সুদ যুক্ত হবে।
গ্রেস পিরিয়ডের সুবিধা১.
২. হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে আপনি সুদ ছাড়াই সেই সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারেন। গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে সুদের টাকা বাঁচাতে পারেন।
৩. সময়মতো ও সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকে, যা ভবিষ্যতে ঋণ পেতে সাহায্য করে।
৪. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমে যায়, যা একটি নিরাপদ মাধ্যম।
৫. ক্রেডিট কার্ড আপনাকে একটি স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়, যার মাধ্যমে আপনি আপনার আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে পারেন, যদি আপনি সময়মতো বিল পরিশোধ করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র এই সময় আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিকে প্রতীক বাছাইয়ে সময় বেঁধে দিল ইসি
নিবন্ধনের প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি প্রতীক বেছে নিতে হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে এনসিপিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় না থাকায় এনসিপির পছন্দের তালিকায় থাকা প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ নতুন দল নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানিয়ে এই চিঠি পাঠান।
আরো পড়ুন:
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে মামলা করব না: মান্না
বিমানবন্দরে সাংবাদিক লাঞ্ছনায় সংবাদ সম্মেলন বয়কট, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
চিঠিতে ইসি জানায়, জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। দলটির আবেদনপত্রে পছন্দের প্রতীকের ক্রমানুযায়ী ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীকটি বর্তমানে অন্তর্ভুক্ত নেই।
এই অবস্থায় দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০বি (১)(খ)-এর বিধান সম্পর্কে অবগত করা হয়। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো দল কর্তৃক মনোনীত সব প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দসই যে কোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এভাবে বরাদ্দকৃত প্রতীক দলটির জন্য সংরক্ষিত থাকবে—যদি না দলটি পরবর্তীতে অন্য কোনো প্রতীক লাভে ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এই জটিলতা নিরসনে নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী ইসির দেওয়া নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা থেকে এখনো বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক দ্রুত বেছে নিতে বলেছে।
দলের নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পছন্দসই প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
ঢাকা/এএএম/এসবি