ওল্ড ডিএইচএসের কাউন্সিলর হিসেবে তামিম ইকবালে বিরুদ্ধে গতকাল ‘রহস্যময়’ এক আপত্তি জমা পড়ে বিসিবির নির্বাচন কমিশনে। আপত্তির মূল দাবি, তামিম নাকি এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি, তিনি সংগঠক নন এবং ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবেরও কেউ নন।

আপত্তিটি সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর পক্ষে জমা পড়লেও হালিম শাহ কালই বলেছেন এ রকম কোনো চিঠি তিনি নির্বাচন কমিশনে দেননি, বিসিবিতেও তিনি গতকাল যাননি। ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদও নিশ্চিত করেছেন, তাঁর সই করা চিঠিতেই তামিমকে কাউন্সিলর করেছে ক্লাব। তামিম বর্তমানে ক্লাবটির যুগ্ম সম্পাদক বলেও জানিয়েছেন তিনি।

একটি সূত্র অবশ্য আজ দাবি করেছে, তামিমের বিরুদ্ধে আপত্তিটি জানানো হয়েছে ই-মেইলে। যে মাধ্যমেই জানানো হোক, অভিযোগটিই এখন মূল্যহীন। কারণ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আজ সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, তাঁরা তামিমের বিরুদ্ধে আসা আপত্তিটি আমলেই নেননি।

আপত্তির শুনানি শেষে আজ সন্ধ্যায় মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেইন জানিয়েছেন, তাঁরা এটি আমলে নিচ্ছেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা চিঠিটি পেয়েছি। তবে, যিনি এই আপত্তি জানিয়েছেন, তিনি আজ শুনানিতে উপস্থিত থেকে বিষয়টি উত্থাপন করেননি। সুতরাং, আমরা তাকে অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং এই আপত্তিটি আর আমলে নেব না।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, খসড়া ভোটার তালিকার ওপর গতকাল মোট ৩৮টি আপত্তি পেয়েছেন তাঁরা। যার ৩০টি জমা দেওয়া হয়েছে সশরীরে এসে, আটটি এসেছে ই-মেইলে। আপত্তির ওপর হওয়া শুনানিতে আজ আটজন অনুপস্থিত ছিলেন।
দুদকের পর্যবেক্ষণের কারণে তৃতীয় বিভাগ বাছাই থেকে ওঠা ১৫টি বিতর্কিত ক্লাবকে খসড়া ভোটার তালিকায় রাখা হয়নি। তবে শুনানি শেষে আজ খসড়া ভোটার তালিকায় না থাকা ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমির ইফতেখার রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, বোর্ড সভার অনুমোদন ছাড়াই এই ১৫ ক্লাবকে খসড়া ভোটার তালিকায় না রাখার চিঠি গেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

চিঠিতে কে স্বাক্ষর করেছেন—একাধিকবার এই প্রশ্ন করেও নির্বাচন কমিশন সদস্যদের কাছ থেকে এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘১৫টি ক্লাবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে আমরা তাদের আইনজীবী, মালিক ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে শুনানি করেছি। আমরা প্রত্যেকের বক্তব্য নোট নিয়েছি এবং সেগুলো পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। চিঠিটিতে কে স্বাক্ষর করেছেন, সে বিষয়টি বলতে গেলে আমাদের রেকর্ড দেখতে হবে কারণ আমরা অনেক কাগজপত্র দেখেছি।’

আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘অনুগ্রহ করে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, হয়তো ভালো কিছুই দেখবেন।’

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই কাজ করছেন। বিসিবির নির্বাচনে আগে রিটার্নিং, প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসাররা বিসিবির কর্মী হতেন। কিন্তু এবার বিসিবির বাইরে থেকে এসব কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছি এবং কোনো চাপের মধ্যে নেই’—বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির প্রধান সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী নজরুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপত ত ট বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।

বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।

হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’

এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ব দেখছে শেখ হাসিনার বিচার
  • হৃদয় থেকে বলছি, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হব: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
  • জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি
  • দুই আসামিকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেল রাষ্ট্রপক্ষ
  • এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
  • এস আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত আদেশ স্থগিত
  • মামুন হত্যা মামলায় চার আসামি পাঁচ দিনের রিমান্ডে, অস্ত্র মামলায় ইউসুফের দায় স্বীকার
  • ‎আইনজীবী মাসুদ মিয়ারমৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম