চাকসুতে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা, নির্বাচনে এখন ১৩ প্যানেল
Published: 25th, September 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ১৩তম প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ নামের এ প্যানেল থেকে চাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো.
প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাঈদ মো. রেদোয়ান ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি শাখা ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী সাঈদ মো. রেদোয়ান বলেন, ‘আমরা আপাতত আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছি । নির্বাচনের আগে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মতাদর্শের মিল পেলে তাঁদেরও প্যানেলে যুক্ত করা হবে। নির্বাচনের ইশতেহারও আমরা কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা করব।’
সহসাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা দলীয় কর্মসূচির বাইরে এসে এই প্যানেল ঘোষণা করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাচ্ছি। এ কারণে সবাই একত্র হয়ে প্যানেল দিয়েছি।
আরও পড়ুনআংশিক স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে ভোট: চাকসু নির্বাচন কমিশন২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্যানেলে আরও যাঁরা
প্যানেল থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. রবিউল হাসান, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে তাসনীম ফাত্তাহ কিবরিয়া, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে মুসররাত কবির, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে এ এম তৌহিদুল হক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে মশিউর রহমান, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে মো. আরাফাত ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছে জুনাইদ খান আর মো. রায়হান মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনের ভোট হবে। এরপর শুরু হবে গণনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চাকসু ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থী আছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। হল সংসদে নির্বাচন করবেন ৪৮৬ জন। নির্বাচনে খসড়া ভোটার ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।
আরও পড়ুনচাকসু নির্বাচন: হলের লড়াইয়েও ছাত্রদল-শিবির ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫চাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ২২ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহখেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক ১৪ জন, ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহদপ্তর সম্পাদক পদে ১৪ জন, আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, সহযোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুনহল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতছেন ২১ নারী২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫অন্যদিকে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়ারবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহসাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৫ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন ও ৫ নির্বাহী সদস্যের পদে ৮৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন প র প রক শ করব ন ১৭ জন
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।