উৎসবের ঢাক–ঢোল শোনে সবাই, কারিগরের খোঁজ কেউ রাখে না
Published: 27th, September 2025 GMT
গাছগালির সবুজে আচ্ছাদিত সরু পাকা সড়কের পাশেই মহল্লাটি। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় ৩৩টি পরিবারের বসবাস। এ মহল্লার প্রতিটি পরিবার ঢাক, ঢোল, ঢুগি, তবলা, খোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে আসছেন যুগ যুগ ধরে।
এই মহল্লার অবস্থান মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া দাসপাড়ায়। এখানকার বাসিন্দাদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। সারা বছর ঢাক–ঢোল তৈরি করলেও দুর্গাপূজার আগে এসব বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা বাড়ে। পূজায় প্রাণের স্পন্দন জাগে ঢাক–ঢোলের তালে।
সরেজমিন একদিন
বুধবার দাসপাড়ায় গিয়ে পুরুষ সদস্যদের ব্যস্ততা চোখে পড়ল। সংসারের কাজের পাশাপাশি নারীরাও তাঁদের সহযোগিতা করছেন। পুরুষদের কেউ কেউ শুকনো গাছের মোটা কাণ্ড থেকে হাতুড়ি-বাটাল দিয়ে ঢাক ও ঢোলের ফাঁপা আকৃতির কাঠামো তৈরি করছেন। কেউ তৈরি করা আকৃতিতে পালিশ ও রং করছেন। আবার কেউ তৈরি করা ফাঁপা আকৃতির দুই পাশে চামড়া লাগাচ্ছেন।
কারিগরদের সঙ্গে আলাপে জানা গেল, ঢাক–ঢোল তৈরিতে আম, তাল, কাঁঠাল, মেহগনি, কড়ই, নিম ও ডুমুরগাছের কাঠ ব্যবহৃত হয়। এসব বাদ্যযন্ত্র তৈরির জন্য প্রথমে গাছের মোটা কাণ্ড বেছে নেওয়া হয়। কাঠ শুকালে বাদ্যযন্ত্রের আকৃতি করা হয়। পরে এর দুই পাশে চামড়া টেনে বাঁধা হয় বাঁশ ও পাটের দড়ি দিয়ে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কাঠ দিয়ে ঢাক–ঢোলের গড়ন তৈরি করে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। বুধবার উপজেলার বালিয়াখোড়া দাসপাড়ায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ যযন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।