৩০ রুপি নিয়ে মুম্বাইয়ে পা রাখেন তিনি, এরপর...
Published: 27th, September 2025 GMT
১৯৪০-এর দশক। ভারত তখনো ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর স্বপ্নভঙ্গের মাঝেও কিছু তরুণের চোখে ঝিলিক দিচ্ছিল নতুন আলো। তাঁরা চেয়েছিলেন খ্যাতি, গ্ল্যামার আর নতুন জীবনের হাতছানি। আর সেই স্বপ্নপথই তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিল সিনেমার শহর বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই)। তখনকার দিনে তারকা হওয়া মানে কেবল অভিনয় নয়, বরং সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আর কিছুটা ভাগ্য। কারণ, সিনেমা ছিল তখনো শুরুর পর্যায়ে, মানুষের বোঝাপড়া সীমিত। আর সেই সময়েই লাহোর থেকে মাত্র ৩০ রুপি হাতে নিয়ে মুম্বাই আসেন এক তরুণ। তাঁর নাম দেব আনন্দ।
চাকরি নয়, সিনেমার নেশা
দেব আনন্দ চাইলে একেবারে ভিন্ন পথে হাঁটতে পারতেন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। চাইলে ব্যাংকে ভালো বেতনের চাকরিও জুটে যেত। কিন্তু তিনি সেই নিরাপদ ভবিষ্যৎকে অগ্রাহ্য করে বেছে নিলেন অজানা এক যাত্রা। সিনেমার টান তাঁকে টেনে আনল এক অচেনা শহরে, যেখানে শুরু হলো জীবনের কঠিনতম লড়াই।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’