সোনারগাঁয়ে অন্তঃস্বত্তা নারীকে পিটিয়ে জখম ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
Published: 28th, September 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকায় মাহমুদা আক্তার নামের এক অন্তঃস্বত্তা নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ওই নারীকে শ্লীলতাহানী করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। আহত ওই নারী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বিচার সালিসের দায়িত্ব নিলেও বিচার না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকার বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়ার ছেলে মো.
এ ঘটনায় সিসিটিভি পর্যাবেক্ষণ করে প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে ইমরান, সম্রাটসহ ১০-১২জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন মিয়ার চাচাতো বোন মাহমুদা আক্তারের বাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ না পেয়ে অন্তঃস্বত্তা মাহমুদা আক্তারকে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। আহত মাহমুদা আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিচার শালিসের দায়িত্ব নিয়ে ঘড়িমসি করায় রবিবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত নারীর স্বামী ইমরান হাসান পাভেল জানান, তার স্ত্রী দু’মাসের অন্তঃস্বত্তা। ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার স্ত্রীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তার স্ত্রী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ হামলার তিনি বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারীকে তারা মারধর করেনি। মোবাইলে লাইভ করছিল, তা কেটে দিতে গিয়ে জোর জবরধস্তি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, অন্তঃস্বত্তা নারীকে মারধর করার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স ন রগ এ ঘটন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।