যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা ক্ষমতায় এসে জনগণের উন্নয়ন করতে চায়: শামসুজ্জামান দুদু
Published: 29th, September 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দল জাতির কাছে ওয়াদা করছে ক্ষমতায় এলে জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। তারাই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্র ধরে বাঙালিদের ওপর জুলুম–নির্যাতন চালিয়েছে।
তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি উল্লেখ করে ওই দলের নেতাদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আগে ক্ষমা চান। জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপর দেখেন, কী করবেন না করবেন।’
কারও নাম উল্লেখ না করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা নতুন করে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতির নির্বাচনের বিষয় সামনে নিয়ে আসছে। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সম্পর্কে দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের ধারণা নেই। সরকার বলেছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। বিএনপি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনে এই সরকারের পাশে থাকবে।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষায় ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর বিকল্প নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন শামসুজ্জামান দুদু।
দেশে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্য কোনো পথ নাই নির্বাচন ছাড়া। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বর্তমান সরকার, এটা আমরা আশা করি।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহীদ বাবলু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণতন ত র সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকে বা জনগণকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ কিংবা গাড়িতে আগুন দিলে হামলাকারীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বেতার বার্তায় মাঠ পর্যায়ে নিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের এমন নির্দেশনা দেন তিনি। ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করলেও কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত আইজি-ডিআইজিসহ পুলিশের ৩১ কর্মকর্তাকে বদলি
ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না শিক্ষকের
নাশকতাকারীদের লক্ষ্য করে গুলির নির্দেশ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, “হ্যাঁ, বলেছি। বলেছি, বাসে আগুন দিলে, পুলিশ ও জনগণের গায়ে আগুন দিয়ে গুলি করে দিতে বলেছি।”
এটা কি আইনে কাভার করে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একশ’তে একশ’ কাভার করে। চাইলে আপনিও পারেন এটা!”
পুলিশ কিংবা নাগরিক নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে, তা ব্যাখ্যা করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৪ ধারাতে যা বলা আছে, সে অনুযায়ী, আপনিও পারেন এটা। তাতে বলা আছে যে, যেকোনো লোকের সম্পদ বা জানের হেফাজতের জন্য সে গুলি করতে পারে, তার যদি গান থাকে।”
তিনি বলেন, “সে আইন অনুযায়ী এই বার্তাটা আমি স্মরণ করায় দিলাম আমার কলিগদের যে, যে কোনো বাসে আগুন দিবে, তোমার গায়ে ককটেল মারবে, জনগণের গায়ে ককটেল মারবে, তুমি গুলি করে দিবা।”
উল্লেখ্য, দণ্ডবিধির ৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোনোকিছুই অপরাধ নহে।’
গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে কয়েকটি ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ পর দিশেহারা নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে বেতার বার্তার মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন সিএমপি কমিশনার।
এর পরদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিএমপি কমিশনারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সংস্থাটি বলেছে, দেশের সংবিধান যেকোনো নাগরিকের জীবনের অধিকার এবং আইনের আশ্রয় পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। সন্দেহভাজন অপরাধীকেও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হত্যা বা গুলি চালানোর নির্দেশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ঢাকা/এমআর/রফিক