খাগড়াছড়িতে অবরোধের ডাক দেওয়া সংগঠন ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিরা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। গতকাল সোমবার রাতে রাঙামাটি শহরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা নামে যে গ্রুপটা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমি আজ কথা বলেছি। ছয়জন এসেছিলেন তাঁরা, ছয়জনই ইউপিডিএফের। কারণ, খাগড়াছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ ছাড়া কোনো কিছু নাই। আমি একে একে তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা বলেছেন, আমরা ছয়জনই ইউপিডিএফ।’

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘কোনো অপরাধ নয় এটা, মতাদর্শ থাকতেই পারে। আমি ওদের বলেছিলাম, দেখুন গত কয়েক দিনে আপনারা যা যা করলেন, আমার মনে হয় না এটি ম্যাচিউরড ওয়েতে হয়েছে, ম্যাচিউরিটির কমতি এখানে আছে।’

আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন২ ঘণ্টা আগে

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ‘তাঁরা (পাহাড়িরা) সব সময় স্লোগান দেন, সেনা হটাও। এই দুনিয়াতে কিছু বাস্তবতা আছে। যে বাস্তবতার বাইরে আমরা এত সহজে যেতে পারব না। এমনও দিন আসবে, আমরা তাঁদের জোর করে ধরে রাখলেও রাখতে পারব না।’

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুম্ম ছাত্র-জনতার হয়ে গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া ছয়জন হলেন—কৃপায়ন ত্রিপুরা, ছদক চাকমা, পিন্টু চাকমা, তোষিতা চাকমা, মানিক চাকমা ও বাগীশ চাকমা।

জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন, তাঁদের ছয়জনকে ইউপিডিএফ ট্যাগ লাগানো উদ্দেশ্যমূলক, অপমানজনক ও ভিত্তিহীন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে জুম্ম ছাত্র-জনতা আর কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না। জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ছয়জন আমাদের সদস্য বা কর্মী নয়।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ম ম ছ ত র জনত উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসে আগুন

ঢাকার আশুলিয়ায় সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মিনিবাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে এ নাশকতা করা হয়। আগুনে বাসের ভেতরের আসনগুলো পুড়ে গেছে। 

ওই বাসের চালক মো. পিন্টু জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহনের মিনিবাসটি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর ৪টার দিকে চালকের সহকারী বাসটি পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ওয়াশরুমে যান। ভোর পৌনে ৫টার দিকে তিনি ফিরে এসে বাসে আগুন দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

তিনি বলেন, আগুনে সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। ২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশও আসছিল। 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হান্নান বলেছেন, বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ওই এলাকায় আমাদের টহল টিম ছিল। তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নাশকতার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ