জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনে ইসির তিন কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত
Published: 30th, September 2025 GMT
গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্থাপিত অভিযোগ পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে তদন্ত কমিশনে তিন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমুল কবীরের সই করা এই সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আরো পড়ুন:
সংসদ নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ
রবিবার সুশীল সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি
চিঠি থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১৩ আগস্টের স্মারক অনুযায়ী ৪ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে তদন্ত কমিশনে সংযুক্তির অনুরোধ করা হলেও পরবর্তীতে নতুনভাবে তিন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করা হলো।
প্রথমে প্রস্তাবিত কর্মকর্তারা ছিলেন নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো.
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ন কর মকর ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিকে প্রতীক বাছাইয়ে সময় বেঁধে দিল ইসি
নিবন্ধনের প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি প্রতীক বেছে নিতে হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে এনসিপিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় না থাকায় এনসিপির পছন্দের তালিকায় থাকা প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ নতুন দল নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানিয়ে এই চিঠি পাঠান।
আরো পড়ুন:
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে মামলা করব না: মান্না
বিমানবন্দরে সাংবাদিক লাঞ্ছনায় সংবাদ সম্মেলন বয়কট, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
চিঠিতে ইসি জানায়, জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। দলটির আবেদনপত্রে পছন্দের প্রতীকের ক্রমানুযায়ী ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীকটি বর্তমানে অন্তর্ভুক্ত নেই।
এই অবস্থায় দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০বি (১)(খ)-এর বিধান সম্পর্কে অবগত করা হয়। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো দল কর্তৃক মনোনীত সব প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দসই যে কোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এভাবে বরাদ্দকৃত প্রতীক দলটির জন্য সংরক্ষিত থাকবে—যদি না দলটি পরবর্তীতে অন্য কোনো প্রতীক লাভে ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এই জটিলতা নিরসনে নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী ইসির দেওয়া নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা থেকে এখনো বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক দ্রুত বেছে নিতে বলেছে।
দলের নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পছন্দসই প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
ঢাকা/এএএম/এসবি