আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
Published: 1st, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনিতে নবী হোসেন (৩৫) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দড়ি বিশনন্দী (কাঁঠালতলা) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নবী হোসেন আড়াইহাজারের উচিতৎপুরা এলাকার লোকমান ওরফে লইক্কা হোসেনের ছেলে।
এসময় ডাকাত দলের হামলায় গৃহবধূসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- একই এলাকার কুলসুম, নাইম, আবুল ও ফারুক।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে ১৫-২০ জনের এক ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দড়ি বিশনন্দী এলাকার ইলিয়াসের বাড়িতে ডাকাতি করতে প্রবেশ করে। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে ডাকাতরা হামলা চালায়। এতে গৃহবধূ কুলসুম গুরুতর আহত হন এবং নাঈম, আবুল ও ফারুক নামের আরও তিনজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুউদ্দিন বলেন, এ ঘটনার আগে ওই ডাকাতদল আরও দুটি বাড়িতে ডাকাতি করেছে বলে জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মহাষ্টমীর দিন সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারা সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ও পঞ্চমীঘাটের পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “জেলার ২২৪টি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আমরা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখছি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরই প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অতীতের মতো এখনো আমরা সেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা জানাতে চাই, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি।”
জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন বলেন, “জেলার সাতটি থানায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি অন্য বাহিনীগুলোও নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। কোনো ধরনের আশঙ্কার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি যোগ করেন, “বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর ফলে আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
এসময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জসিম উদদীন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ আব্দুল্লাহ,জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস হেমা জেরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নায়মা ইসলাম,সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 'খ' আসিফ ইমাম, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বারদী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কমিটির ব্যবস্থাপক নয়ন চন্দ্র গোলদার, সভাপতি অশোক কুমার রায়, সেক্রেটারি শংকর কুমার দে, পঞ্চমীঘাট সার্বজনীন পূজা উদযাপন মণ্ডপ ও পানাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু অমল পোদ্দার (সিআইপি) এবং মণ্ডপ কমিটির সভাপতি প্রদীপ পোদ্দার,বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম,বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দেলেয়ার হোসেন দুলু উপস্থিত ছিলেন।