দেশের পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যু করা নতুন ২ বছর মেয়াদের ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) থেকে উভয় পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তথ্য মতে, নতুন বন্ডটির নাম হলো- ‘‘02Y BGTB 05/11/2027’’। ডিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- ''TB2Y1127'' এবং ডিএসইতে স্ক্রিপ্ট কোড- "88546"। একই ভাবে সিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- 'TB2Y1127'' এবং সিএসইতে ট্রেডিং আইডি- "50312"।

তথ্য মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ডিএসই ও সিএসই’র ডেবট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বন্ডটির মেয়াদ আগামী ২০২৭ সালের ৫ নভেম্বর শেষ হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের মূল্য ১০০.

২৩২৩ টাকা এবং অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। বন্ডের মার্কেট লট ১০০০টি করে। এই বন্ড ১০.১০ শতাংশ হারে বছরে ২ বার কুপন প্রদান করবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল নদ ন ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২ থেকে ৬ নভেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১৫ হাজার ২০৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৪.২৮ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭.১৪ পয়েন্ট বা ২.৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪৩.৪২ পয়েন্ট বা ৪.০১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৬১.০৯ পয়েন্ট বা ৬.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৩১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, দর কমেছে ৩৪০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২৭.৫২ পয়েন্ট বা ২.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৮৮ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ২.২৪ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ২.৬৬ শতাংশ কমে ৮৭৪ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.০৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, দর কমেছে ২১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে মনোস্পুল পেপার
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা