ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি
Published: 10th, November 2025 GMT
বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। তার ভাই বিক্রান্ত কুমার জেটলিকে গ্রেপ্তার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুধাবিতে আটক রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেলিনা। ভাইয়ের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বিগ্ন এই অভিনেত্রী।
সেলিনা জেটলি তার ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার ডাম্পি, আশা করি তুমি ভালো আছো, আশা করি তুমি জানো আমি তোমার পাশে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আশা করি তুমি জানো, আমি একরাতও তোমার জন্য না কেঁদে ঘুমাতে পারি না।”
আরো পড়ুন:
‘স্ত্রীর চেয়ে নায়িকাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছে গোবিন্দ’
রেকর্ড গড়বে শাহরুখের ‘কিং’?
ভাই বিক্রান্তের দেশে ফেরার অপেক্ষায় সেলিনা। এ অভিনেত্রী বলেন, “তুমি জানো, তোমার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করতে পারি। আশা করি তুমি জানো, আমাদের মাঝে কেউ কখনো আসতে পারবে না। আশা করি তুমি জানো, আমি কোনো প্রচেষ্টা বাকি রাখিনি। আশা করি, ঈশ্বর তোমার ও আমার প্রতি দয়া দেখাবেন। আমার ভাই, তোমার অপেক্ষায় আছি।”
যথাযথ আইন ও চিকিৎসাসেবা ছাড়াই মেজর বিক্রান্ত জেটলিকে আবুধাবিতে আটক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে জেটলির পরিবার। জেটলি পরিবারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন রাঘব কাক্কর।
রাঘব কাক্কর বলেন, “সরকার একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছেন, যাতে আবেদনকারী ও তার ভাইয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হয়, কার্যকর আইনগত সহায়তা প্রদান করা যায় এবং মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আমাদের আপডেট দেওয়া হয়.
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে নোডাল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেলিনা জেটলির পক্ষ থেকে আইনজীবী রাঘব কাক্কর ও মাধব আগরওয়াল উপস্থিত থাকবেন।
পরিবারের তথ্যমতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি চতুর্থ প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা। বিশেষ বাহিনীতে (স্পেশাল ফোর্সেস) কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে বিক্রান্তকে আটক করা হয়।
২০০১ সালে ‘জানশীন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সেলিনা জেটলির। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের মাঝপথে আকস্মিকভাবে বিয়ে করেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। তারপর অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন ৪৩ বছর বয়সি এই নায়িকা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ রোববার এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বাহার রুমি ও রেজা মো. সাদেকীন। মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বাহার রুমি প্রথম আলোকে বলেন, চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।
আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।
আরও পড়ুনলতিফ সিদ্দিকী বললেন, আদালতের প্রতি আস্থা নেই, কী হলো এজলাসে২৯ আগস্ট ২০২৫