ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আরো ৩৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

আটক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হ্যান্ডকাফসহ ‘উধাও’

মোহনগঞ্জে নাশকতা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে অর্থের বিনিময়ে মিছিলে অংশ নিচ্ছে এবং এর পেছনে অনেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। ডিবি তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের পরিচয় জানায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ও যেকোনো মূল্যে রাজধানীতে অবস্থান জানান দিতেই এসব মিছিল করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী লকডাউনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা

ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। তবে স্বৈরশাসক হিসেবে তার পূর্ব পরিচিতি কারণে এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে সুহার্তোর নিউ অর্ডার শাসনামলে, ইন্দোনেশিয়া দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগ দেখেছিল কিন্তু সহিংস রাজনৈতিক দমন-পীড়নেরও একটি যুগ দেখেছিল। সেই সময় কয়েক লাখ রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবনে জাতীয় বীর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সুহার্তোর সাবেক জামাতা ও ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঘোষিত ‘জাতীয় বীর’ তালিকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে প্রয়াত সুহার্তোও রয়েছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়া শাসন করা সুহার্তো ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গণবিক্ষোভ এবং মারাত্মক দাঙ্গার মুখে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ২০০৬ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে সুহার্তোকে স্মরণ করে বলা হয়, “সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়ক, জেনারেল সুহার্তো স্বাধীনতার যুগ থেকে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।”

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে সোহার্তোর স্বৈরাচারী শাসনকালকে বৈধ প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে প্রাবোও সরকারের মন্ত্রীরা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন, সোহার্তোর অর্থনৈতিক অবদানই ছিল দেশের উন্নয়নের ভিত্তি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো অমূলক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ