বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জনগণের পার্লামেন্ট না হলে অধিকার ফিরে আসবে না। এ দেশের আসল মালিক জনগণ, সে প্রমাণ দিতে হবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।”

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “জনগণের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো ব্যবস্থা আমরা মানব না। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

মির্জা ফখরুল সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল, দেশের মানুষ কোনোদিন তাদেরকে সঠিক পথে পায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে তারা সমর্থন করেনি। কিন্তু, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, এটি মুক্তিযুদ্ধের দল।”

তিনি আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাই, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে।

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.

পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/হিমেল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনগণ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করেছেন জিয়াউর রহমান: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের আত্মপরিচয় নিয়েও একটা সংকট ছিল। সেই আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করেছেন জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি)।’

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাহাত্তরে যাঁরা ক্ষমতা নিলেন, সেখানে সংকট তৈরি হয়েছিল। তাঁরা যে জাতীয়তার কথা বললেন, সেটাও একটা বিতর্কিত জাতীয়তা। এটা আঞ্চলিক পরিধিতে গণ্য হতে পারে। কিন্তু যে জাতীয়তার মধ্যে ভূখণ্ডের প্রতিনিধিত্ব নেই, যে জাতীয়তার মধ্যে আমার স্বতন্ত্র সত্তা, পতাকার প্রতিনিধিত্ব নেই; সেটা তো একটা জাতীয়তা হতে পারে না। সেটাও নিরসন করলেন জিয়াউর রহমান।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ—এই নামটির মধ্যে আমার ভূগোল, আমার মাটি, আমার পানি, আমার বৃক্ষ, পাখি সবকিছুরই প্রতিনিধিত্ব করল। এই শব্দটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের আত্মপরিচয়কে সুন্দরভাবে গোটা বিশ্বের কাছে উদ্ভাসিত করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকটকে নিরসন করলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপর বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের পথচলা—সবকিছু নিশ্চিত হলো যে মানুষটির মধ্য দিয়ে, তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান।’

অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তিনি বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর যে জন–আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ৫ আগস্টের পর থেকে একটি গোষ্ঠী বিভক্তির কাজে লিপ্ত রয়েছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আমরা যেমন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ নভেম্বর আমাদের শিখিয়েছে, সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে‌।’ তবে তিনি বলেন, চব্বিশের ছাত্র–জনতার বিপ্লবের পর‌ও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আগামী দিনে যারা গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ নূর হোসেন, বৃদ্ধ মজিবুর রহমান এবং শামসুর রাহমানের কবিতা
  • জুলাই সনদের যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে অন্য পাতা ঢোকানো হয়েছে
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: সমঝোতার সম্ভাবনা ক্ষীণ, সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে
  • বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা. জাহিদ  
  • বিএনপিতে ৫ শতাংশ শিক্ষকের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
  • জাতি সংকটে পড়লেই জনগণের ঐক্যই মুক্তির পথ দেখায়: মান্নান
  • আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রের রাজনীতি করি: জহির উদ্দিন স্বপন
  • আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করেছেন জিয়াউর রহমান: রিজভী
  • ৭ নভেম্বর: ঐতিহাসিক বাস্তবতা, গণতন্ত্র ও বিএনপির প্রাসঙ্গিকতা