একটিতে বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার, আরেকটিকে ‘স্থানীয়’ প্রার্থীর দাবি
Published: 10th, November 2025 GMT
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের একাংশ। এ ছাড়া সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে ‘স্থানীয়’ প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির একটি অংশ সভা করেছে।
৩ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, সিলেট-১, সিলেট-২, সিলেট-৩ ও সিলেট-৬ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তবে সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। সিলেট-৬ আসনে দলের মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুনসিলেটে আগাম নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, প্রার্থীরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি১৩ ঘণ্টা আগেএদিকে সিলেট-১ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে আশাহত হন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ অবস্থায় তাঁকে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। পরে গত বুধবার দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আরিফুলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আরিফুল জানান, দলের চেয়ারপারসন তাঁকে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগির এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হবে।
গতকাল রোববার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে পীরেরবাজার এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান–পরবর্তী পথসভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সিলেট-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল হাকিম চৌধুরী।
সিলেট-৪ আসনে বিএনপিতে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে পথসভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল হাকিম চৌধুরী। গতকাল রোববার বিকেলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীকে দেখে স্লোগান দিয়ে নদীতে লাফ
সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। ঢাকা থেকে তার বাড়ি ফেরার সংবাদে নদীপাড়ে জড়ো হন অসংখ্য সমর্থক। এ সময় তাকে আসতে দেখে কয়েকজন সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পাড়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ দিন মাহবুবুর রহমান স্পিডবোটে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে নদী পাড়ে হাজারো সমর্থক উপস্থিত হন। তাকে বহনকারী স্পিডবোট পাড়ের দিকে এগিয়ে আসার সময় কয়েকজন সমর্থক ‘মাহবুবুর ভাই’ ‘মাহবুবুর ভাই’ স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপ দেন এবং তারা সাঁতরে স্পিডবোটের কাছে চলে যান। এ সময় মাহবুবুর রহমান তাদের স্পিডবোটে তুলে নেন এবং সবাইকে নিয়ে জামালগঞ্জ রিভার ভিউয়ের মাঠে পথসভায় যোগ দেন।
পথসভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কখনো কোনো আন্দোলনে পিছনে ফিরে তাকাইনি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গ্রেনেড হামলায় আমার বাম কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেও কাজ করেছি।’’
‘‘আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমি আপনাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আপনারা অশ্রুসিক্ত নয়নে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি সেই ভালোবাসা নিয়ে আজীবন জনকল্যাণে কাজ করে যাব।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারেক জিয়া আমার নেতা। ধানের শীষ আমার ঠিকানা। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।’’
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মালিক, দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বাবায়ক আজাদ হোসেন বাবলু, ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী ব্যাপারী প্রমুখ।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনিসুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঢাকা/মনোয়ার//