টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে গোলাগুলি, আতঙ্ক
Published: 10th, November 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা উপজেলার নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে নুর কামাল-সাদ্দাম গ্রুপের সঙ্গে সালেহ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলে। রোহিঙ্গারা জানান, চারদিক থেকে আসা গুলির শব্দে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
আরো পড়ুন:
উখিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে ১৮ রোহিঙ্গা আটক
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসী নৌকাডুবি, শতাধিক নিখোঁজ
তিনি বলেন, “নুর কামাল ও সাদ্দাম গ্রুপ একত্রিত হয়ে সালেহ গ্রুপের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এপিবিএন সদস্যরা একাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।”
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, “অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমন ও ক্যাম্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ টিম পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নুর উদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, “প্রতিদিনই ক্যাম্প ও আশপাশের পাহাড়ে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই, যেন এসব সংঘর্ষ বন্ধ হয়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গার দাবি, টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে এখনো কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ক্যাম্পে ঘটছে গোলাগুলি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধ।
সম্প্রতি তোহা গ্রুপের প্রধান তোহাকে আটক করেছে এপিবিএন। এর আগে র্যাব অভিযান চালিয়ে ডাকাত শফি গ্রুপের প্রধান শফিকে বিপুল অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযান সত্ত্বেও ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো নাজুক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার
বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সংবাদ নিয়ন্ত্রক ক্রেইগ অলিভার। বিবিসির মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের পর রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলিভার এ কথা বলেন।
অলিভার বিবিসির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন, বিবিসিতে যে পরিস্থিতি চলছে, তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অলিভারের মতে, এই সংকট সময়ে প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বিবিসির চেয়ারম্যান সমির শাহকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তিনি সে কাজটি যথাযথভাবে করছেন না বলে মনে করেন তিনি।
রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলিভার আরও বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না, যা কিছু ঘটেছে তার বিষয়ে বিবিসির বক্তব্য কী।’
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস গতকাল রোববার রাতে পদত্যাগ করেন। বিবিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠার পর তাঁরা দুজন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
টিম ডেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।’ আর বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেবোরাহ টারনেস বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুনবিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ১৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির এডিটোরিয়াল গাইডলাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস কমিটির (ইজিএসসি) সাবেক পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট বিবিসির সংবাদ পরিবেশনে পক্ষপাতিত্বের এই অভিযোগ তোলেন।
বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ জোড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই এ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন।
বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্যকে জোড়া দিয়ে ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে। এটি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কারণ, জোড়া দেওয়া বক্তব্যটি শুনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় উসকানি দিচ্ছেন। প্যানোরামায় গত বছর ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুনঅপ্রত্যাশিত এই মুহূর্ত কি বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ের বিভাজনকে তুলে ধরছে১ ঘণ্টা আগে