Prothomalo:
2025-06-17@04:04:29 GMT

ইসলাম উদ্দিন পালাকারের গল্প

Published: 6th, February 2025 GMT

এগারসিন্দুর প্রভাতী যখন কিশোরগঞ্জে থামল, তখন সময় বেলা ১১টা। ট্রেন থেকে নেমে এক মিনিটের হাঁটাপথে একরামপুর বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে আমাদের গন্তব্য করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রাম, ইসলাম উদ্দিন পালাকারের বাড়ি। অটোতে করে পৌঁছে যাই দরগার ভিটা বাজার। সেখানে আমাদেরই অপেক্ষায় ছিলেন ইসলাম উদ্দিন। জানান, অনুষ্ঠান না থাকলে এখানেই সারা দিন কাটান। নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে চা, মোগলাই খেতে খেতে জমে ওঠে আড্ডা। শুরুতে নুহাশ আহমেদের দ্বিতীয় ‘ষ’–এর ‘বেসুরা’ প্রসঙ্গ। এখানে গায়কের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। ‘এটাতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। এরপর যখন শুনলাম প্রীতম ভাই আছে, কিছুটা চিন্তা কমে যায়। নিজে নিজে চিন্তা করলাম যাত্রায় কত কঠিন কঠিন গল্পে অভিনয় করলাম জীবনে। আর এইখানে তো পরিচালক বলে দিবেন, আমি শুধু পারফর্ম করব। রাজি হয়ে গেলাম। গানটা যখন রেকর্ড হলো, চিন্তাটা একদম কমে গেল। আর নুহাশ ভাই অনেক ভালো মানুষ, আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে সব দেখিয়ে দিয়েছে।’ বললেন ইসলাম উদ্দিন।

স্মৃতির ঝাঁপি খুলে সত্তর-আশির দশকে ফিরে গেলেন ইসলাম উদ্দিন। গ্রামে গ্রামে যাত্রা থেকে পালাগানের আসর বসত, রাতভর দর্শকেরা উপভোগ করতেন নাটক, উঠানে পাটি পেতে শুনতেন গান। ইসলাম উদ্দিন তখন মক্তবের ছাত্র। বয়স ১২ থেকে ১৩। বড় দুই ভাই তখন গ্রামের যাত্রায় অভিনয় করতেন। ভাইদের নাটক দেখতে গ্রামের পর গ্রাম গেছেন তিনি। সে সময় নতুন একটি নাটকের জন্য অভিনেতা খুঁজছিল যাত্রার দল। সব চরিত্র পাওয়া গেলেও নায়ক চরিত্রে কাউকে মনমতো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে নাটকের একটি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ইসলাম উদ্দিনের এক চাচাতো ভাই। তিনিই সন্ধান দেন ইসলামের। পালাকারকে এ চরিত্রে নিতে তাঁর বড় ভাইকে রাজি করান যাত্রা দলের ম্যানেজার। এভাবেই শুরু হয় ইসলাম উদ্দিনের অভিনয়জীবন।

নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে চা, মোগলাই খেতে খেতে জমে ওঠে আড্ডা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ