নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালবাসতে হবে। সেটিকে তুলে ধরতে হবে সম্প্রীতির মাধ্যমে সকলের সাথে একত্রিত হয়ে।

এখানে যদি আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাই তাহলে আমাদের সংস্কৃতিকে কিন্তু তুলে ধরতে পারবো না। আমাদের আগামীর প্রজন্মের কাছে আমরা যেন বাংলা নববর্ষের মাধ্যমে আমাদের সঠিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারি আমরা সেই চেষ্টাই করবো। 

জাতীয়ভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের সম্মেলনের কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।    

সভায় বৈশাখীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে করে না ঘটতে পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। 

তিনি আরও বলেন, সভার মাধ্যমে আমরা আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেয়েছি।  এই মতামতের ভিত্তিতে আমরা সকলে একসাথে আমাদের বাংলা নববর্ষের যে ঐতিহ্য নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে আমরা ফুটিয়ে তুলতে পারবো। 

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সর্বস্তরের সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমাদের এই সংস্কৃতিকে নিয়ে কালিমা রটানোর চেষ্টা বিভিন্ন গ্রুপ করে যাচ্ছে।

সেইদিন কেউ যেন তা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সতর্কতা নিয়েই আমরা আমাদের উৎসবটি উদযাপন করব। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।  

সভায় আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। পহেলা বৈশাখের সকাল নয়টায় শহরের চাষাড়া চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে।

এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলসহ সকল শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করবে। শোভাযাত্রাটি লিংক রোড় দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। 

এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৈশাখী মেলা ও মনোরঞ্জন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এবং নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি উপজেলা ও বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল ও কলেজে একইভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-পরিচালক (উপ- সচিব) ড.

মো: মনিরুজ্জামান, মেজর আয়াজ, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির কর্ম সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন, মহানগরের আমীর মাওলানা আঃ জব্বার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কানিজ ফারজানা শান্তা প্রমুখ। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র স অন ষ ঠ সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে ব্যবসায়ী আহত
  • নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা
  • বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য : ডিসি
  • বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন না’গঞ্জ মহানগরীর শ্রমিক সমাবেশ ও র‌্যালি
  • নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 
  • ঢাকার শ্রমিক সমাবেশে সজল- সাহেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের অংশগ্রহণ 
  • মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে মহানগর শ্রমিকদলের শোডাউন
  •  মে দিবসে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 
  • ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় হবে : হাফিজুর 
  • রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ