জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন। সম্প্রতি তিনি দেশটিতে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেছেন। আর তা করেছেন শুধু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য।

দুনিয়ার ইতিহাসে যেখানে বড় শক্তিকে খুশি করতে ছোট দেশের উপঢৌকন দেওয়ার নজির আছে। সেই চল এখনো চলছে। যেমন রাশিয়ার পুতিন যখন রাশিয়ার ধনকুবেরদের দমন করা শুরু করেন, তখন তাঁদের অনেকে পুতিনকে দুর্লভ সব জিনিস উপহার দেওয়া শুরু করেন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ট্রাম্পের খাতিরে খোদ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়েই রাজকীয় আয়োজন করেছিলেন। গলফপ্রেমী ট্রাম্পের জন্য তিনি খুঁজে বের করেছিলেন গলফ খেলার ভালো মাঠ।

জর্ডানের রাজার পক্ষে হয়তো ট্রাম্পকে একটি দামি গালিচা বা বাজপাখিও উপহার দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি করলেন আরও চমকপ্রদ। জর্ডানের বাদশাহ তাঁর নিজ দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন।

ট্রাম্পকে খুশি করার কারণ

জর্ডান দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যনির্ভর দেশ। ট্রাম একবার সেই দেশে সাহায্য বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিলেন। ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন এরিক ট্র্যাগারকে। এই ট্র্যাগার মুসলিম ব্রাদারহুডের কড়া বিরোধী।

প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প নিজেই আমেরিকায় ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করার কথা ভেবেছিলেন। এবার তিনি আবার সেই পথে এগোতে পারেন। ফলে বাদশাহ আবদুল্লাহর সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করার। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক ইসলামবিরোধী অবস্থানের সঙ্গে মিলে গেছে।

এর প্রতিদানও মিলেছে। ট্রাম্প আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া জর্ডানের সবচেয়ে বড় পানিশোধন প্রকল্পে আবার অর্থসাহায্য চালু হয়েছে।

আগে ব্রাদারহুড ও হামাসের মধ্যে সমঝোতার কারণে হামাস জর্ডানে সদস্য সংগ্রহ করত না। এখন সে বাধা উঠে গেছে। ফলে জর্ডান থেকে হামাস বা অন্য কোনো সংগঠনের ইসরায়েলে হামলা চালানোর পথ খুলে যাচ্ছে।

দেশের ভেতরে ঝুঁকি বাড়ছে

দেশের ভেতরে বাদশাহ আবদুল্লাহ বড় জুয়া খেলেছেন। মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯৪৫ সাল থেকেই জর্ডানে বৈধভাবে কাজ করছে। বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহর বাবা বাদশাহ হুসেইন তাঁর ৪৭ বছরের শাসনে কখনোই তাঁদের নিষিদ্ধ করেননি।

হুসেইনের সময় ব্রাদারহুড অনেক সময়েই সরকারের পাশে ছিল। ১৯৫৭ সালে যখন নাসেরপন্থী এক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলো, কিংবা ১৯৭০ সালের গৃহযুদ্ধে যখন জর্ডান পিএলওর সঙ্গে লড়ছিল, তখনো ব্রাদারহুড সংঘাতে অংশ না নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখেছিল। ইরাক ১৯৯০ সালে কুয়েত দখল করার পর হুসেইন বড় সংকটে পড়েছিলেন। তখন তিনি দেশের ভেতরে ঐক্য টিকিয়ে রাখতে মুসলিম ব্রাদারহুডের পাঁচজন নেতাকে মন্ত্রী বানিয়ে সরকারে আনেন।

মতবিরোধও যে ছিল না, এমন নয়। ব্রাদারহুড ১৯৫৫ সালের বাগদাদ চুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তবু হুসেইন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। কারণ, তিনি জানতেন যে সংগঠনটি শান্তিপূর্ণ ও সংস্কারমুখী। আর তাদের মাধ্যমে দেশের ভেতরে জনগণের ক্ষোভ যে দমিয়ে রাখার কৌশলও তিনি ভালো করেই বুঝতেন।

হুসেইনের সময় হামাসও ছিল এক আলোচনার বিষয়। বাদশাহ হামাস নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি ১৯৯৭ সালে হামাস নেতা খালেদ মেশালকে ইসরায়েল বিষপ্রয়োগ করলে তিনি কঠোর ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি তখন তিনি ইসরায়েলের কাছ থেকে বিষের প্রতিষেধক জোগাড় করে এনেছিলেন।

অবক্ষয়ের পথে

বাদশাহ আবদুল্লাহ ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় এসেই হামাসকে জর্ডান থেকে বের করে দেন। এরপর ধীরে ধীরে মুসলিম ব্রাদারহুডের দাতব্য কাজ নিষিদ্ধ করেন। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের কার্যক্রমে বাধা দেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহ ভেবেছিলেন, এতে ব্রাদারহুড দুর্বল হবে; কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়ও ব্রাদারহুড জর্ডানে শাসন বদলের দাবি তোলেনি। তারা বরাবরই সংযত থেকেছে।

২০১৫ সালে সরকার ব্রাদারহুডের ভিন্নমতের একটি অংশকে ‘নতুন ব্রাদারহুড’ হিসেবে বৈধতা দেয়। পাশাপাশি মূল সংগঠনটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপরও কিন্তু ব্রাদারহুডের জনপ্রিয়তা কমেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্রাদারহুডঘনিষ্ঠ ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট ১৩৮ আসনের মধ্যে ৩১টি জয় করে।

পরিকল্পিত নিষিদ্ধকরণ

সম্প্রতি জর্ডানের মিডিয়ায় আবার শুরু হয়েছে ব্রাদারহুডবিরোধী প্রচার। বলা হচ্ছে, তারা জনগণকে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও করতে উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু জর্ডানে কোনো মিডিয়া প্রচারণা এমনিই হয় না। এর পেছনে থাকে গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা।

রাজপরিবার ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের (জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট) মধ্যে সব সময়ই দুই ধারা কাজ করে। এক ধারা ইসরায়েলকে জর্ডানের সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে। এই ধারার একজন মুখপাত্র হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। তিনি বলছেন, ইসরায়েল গত ৩০ বছরের শান্তি প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করেছে।

আয়মান সাফাদি কিন্তু একা নন, জর্ডানে এই মত জনপ্রিয়। সেনাবাহিনীতে এর প্রভাব আছে। ২০২৪ সালে জর্ডান সীমান্তে তিন ইসরায়েলিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা মাহের আল-জাজির জানাজায় অনেক সেনাসদস্য ইউনিফর্ম পরে যোগ দিয়েছিলেন। মাহের তাদের কাছে বীর হিসেবেই স্বীকৃত।

অন্য ধারাটি মনে করে, জর্ডানের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ইরান এবং রাজনৈতিক ইসলাম। এই ধারার মূল চালক হলো সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ। এই বিভাগ সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর হাতে। জর্ডানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এখন সিআইএর ঘনিষ্ঠ অংশীদার। সিআইএর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই গোয়েন্দা বিভাগ এতটাই শক্তিশালী যে অনেক সময় একে জর্ডানের ‘সমান্তরাল সরকার’ বলা হয়। তারা এখন ব্রাদারহুডবিরোধী অভিযানের মূল পরিকল্পক। যদিও বাইরে থেকে মনে হবে, সরকার জনমতের চাপে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

সংকটে বাদশাহ আবদুল্লাহ

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাদশাহ আবদুল্লাহ নিজের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করছেন। এখনো তিনি ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের ৩১ সংসদ সদস্যকে নিষিদ্ধ করেননি। তবে ভবিষ্যতে তা হতে পারে।

সবচেয়ে দুঃসময়ে এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কয়েক দিন আগে ইসরায়েলি ধর্মান্ধরা আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে প্রার্থনা করেছে। ২০০৩ সালের পর থেকে এ রকম ঘটনা ১৮ হাজার শতাংশ বেড়েছে।

জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর দায়িত্ব আন্তর্জাতিকভাবে জর্ডানের ওপরই বর্তায়। কিন্তু বাদশাহ আবদুল্লাহ এসব ঘটনার কোনো প্রতিবাদ করেননি। আল-আকসায় যখন ইসলামপন্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তিনি তখন পাল্টা সেই ইসলামপন্থীদেরই নিষিদ্ধ করছেন।

এটা যেন একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। দেশীয় রাজনীতি থেকে তিনি নিরাপত্তার যে ‘সেফটি ভাল্‌ভ’ পেয়েছিলেন, তা নিজেই সরিয়ে দিচ্ছেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহ তাঁর বাবা  হুসেইনের মতো সংকটে জাতিকে এক করতে পারছেন না। আর এদিকে ইসরায়েল ধীরে ধীরে পশ্চিম তীর দখলের দিকে এগোচ্ছে। জর্ডানে এসব নিয়ে ক্রমেই জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

আগে ব্রাদারহুড ও হামাসের মধ্যে সমঝোতার কারণে হামাস জর্ডানে সদস্য সংগ্রহ করত না। এখন সে বাধা উঠে গেছে। ফলে জর্ডান থেকে হামাস বা অন্য কোনো সংগঠনের ইসরায়েলে হামলা চালানোর পথ খুলে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের দৃষ্টিতে, বাদশাহ আবদুল্লাহ এখন আর শক্তিশালী আত্মবিশ্বাসী কোনো নেতা নন। তারা আবদুল্লাহকে দেখে একজন দুর্বল মানুষ হিসেবে যাকে ভয় দেখিয়ে যা খুশি করানো যায়।

এই পরিস্থিতিতে আবদুল্লাহর উচিত ইতিহাস থেকে শেখা। মাহমুদ আব্বাসের মতো ব্যর্থ হতাশ নেতা হিসেবে তিনি নিশ্চয়ই ইতিহাসে নাম লেখাতে চাইবেন না। আব্বাস ওয়াশিংটনের মন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন। ফল যা হওয়ার তা–ই হয়েছে। বাইডেন ও ট্রাম্প, কেউই তাঁকে আর গুরুত্ব দেয় না।

বাদশাহ আবদুল্লাহ যদি সময় থাকতে নিজের ভুল না বোঝেন, তাহলে ইতিহাস তাঁকে নিয়েই নির্মম সিদ্ধান্ত নেবে। সেই কঠিন রায় হয়তো গোটা হাশেমি রাজতন্ত্রেরও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে।

ডেভিড হার্স্ট মিডল ইস্ট আই-এর সম্পাদক

মিডল ইস্ট আই থেকে নেওয়া ইংরেজির সংক্ষেপিত অনুবাদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর ইসর য় ল র র জন ত কর ছ ল হ স ইন সবচ য় সদস য ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন সম্ভব

পারিবারিক জীবন থেকে সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব বলে 'কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা সোসাইটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। 

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।

সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম। তিনি বলেন, কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা। 

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কোরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কোরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কোরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কীভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কোরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কোরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কোরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কোরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কোরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ