কাঠের কয়লা ও রঙ হাতে আপন মনে আল্পনা আঁকছেন এক অচেনা পথিক। তাকে দেখে মনে হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে তার হাতের এমন আল্পনা দেখে হতবাক সবাই। তাকে দেখতে পথচারীরা ভিড় করছেন।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি ভূমি অফিসের সামনে তাকে দেখা যায়। লোকটি দেখতে লম্বা, পাতলা ও গায়ের রঙ শ্যামলা। তিনি হয়ত কথা বলতে পারেন না অথবা পারলেও বলছেন না। কেউ প্রশ্ন করলে জবাব দিচ্ছেন না। ক্যামেরা দেখলে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। আপন মনে তার হাতের কাজ করে যাচ্ছেন।

তার হাতের আল্পনায় ফুটে উঠেছে, তার বাড়ি কোনো নদীর তীরে। পথচারী কলেজ ছাত্রী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘আমি তো অবাক। এই মানুষটির হাতে এমন যাদু আছে। দেখে তো পাগল মনে হচ্ছে, আসলে কি তিনি পাগল?”

পথচারী রাজু বলেন, ‘‘এই পাগলকে তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করছি কিন্তু কথা না বলে ছবি এঁকে যাচ্ছেন। আবার তার বাড়ির ঠিকানা ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। হয়ত তিনি শিক্ষিত। কোনো কারণে আজ তার এমন পরিস্থিতি।’’

হিলি বাজারের মনির হোসেন বলেন, ‘‘দুপুর থেকে আমাদের বাজারে তাকে দেখছি। কারো সঙ্গে কথা বা কিছু চাইছেন না। আমরা টাকা দিতে চাচ্ছি, তিনি শুধু মাথা নাড়াচ্ছেন আর ফিসফিস করে কী যেন বলছেন।’’

তবে অচেনা এই মানুষটির আঁকা আল্পনায় সকলে মুগ্ধ হয়েছেন। 

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ