আড়াইহাজারে পরকীয়া করে বিয়ে করে এক বছরের মাথায়  বাবার বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে স্বামীকে টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়ায় বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহিনুর আক্তার শানু (৩০) নামে এক গৃহবধূ।  

রোববার  সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে । নিহত শানু ওই গ্রামের মৃত কাসেমের মেয়ে এবং গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ইদ্রিদ আলী ওরফে লবা এর স্ত্রী। 

পুলিশ জানায়, ৭ বছর আগে উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আলীর ওরফে লবা পার্শ্ববর্তী কড়ইতলা গ্রামের মৃত কাসেমের পরিবারের জমি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে শানুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ইদ্রিস আলীকে বিয়ে করে।

৩ বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য বনাবনি না হওয়ায় ডিভোর্স ও হয়ে যায়। তখন থেকে শানু তার পিত্রালয়ে বসবাস করতে থাকে ।

সম্প্রতি দুজনের মধ্যে আবার যোগাযোগ ও দেখা সাক্ষাৎ এবং পূণরায় সংসার করার কথাবার্তা চলছে। কিন্তু স্বামী লবা শানুকে পূণরায় ঘরে না তুলেই আবার তাকে বাবার বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে।

এ নিয়ে শনিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী লবা শানুকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। ফলে রোববার সকালে রাগে দূঃখে শানু তার পিত্রালয়ে বিষাক্ত ট্যাবলেট স্থানীয় ভাষায় কেড়ির বড়ি  খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর  হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকলে কলেজ  হাসপাতালে প্রেরণ  করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে  শানু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন  বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ