ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবি, প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ
Published: 3rd, August 2025 GMT
শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাঁরা তালা খুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক–সংকট চলার কথা জানিয়ে জেরিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাত্র পাঁচজন শিক্ষক দিয়ে ডিপার্টমেন্ট চলছে। বিষয়টি আমরা ডিন, উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সে জন্য আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজকে তালা ঝুলিয়েছি।’
শিক্ষার্থী আকাশ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফার্মেসি বিভাগে ৮টি ব্যাচের মোট ২৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। নিয়মানুযায়ী মোট ২৮ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু সেখানে আছেন মাত্র পাঁচজন, যা দিয়ে একটি বিভাগ বা ৮টি ব্যাচের পাঠদান চালানো অসম্ভব। আমরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দীর্ঘদিন থেকে আমরা শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু আমাদের দাবি আজও পূরণ হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো.
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. হায়দার আলী বলেন, ‘ইউজিসিকে বারবার চিঠি দেওয়ার পরও আমাদের কোনো পদ দেননি। আমরা তো আর পদ সৃষ্টি করতে পারব না। এইমাত্র একটি চিঠি এসেছে ইউজিসি থেকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ৬ আগস্ট মিটিং আছে। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলার পর শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টা ২০ মিনিটের কর্মসূচি স্থগিত করে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন