সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত
Published: 3rd, August 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় শফিউল্লা নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ছিনতাইকারীরা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত শনিবার (২ আগষ্ট) ভুক্তভোগী শফিউল্লর স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদি হয়ে মিজমিজি সিআইখোলা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মো: জিহাদ (২৩), রব মিয়ার ছেলে রবিন (২৮), একই এলাকার সাকিব (২২) ও রবিউল (২৫) সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এরআগে শুক্রবার সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে ভুক্তভোগীর স্ত্রী উল্লেখ করেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত।
তার স্বামী মো: শফিউল্লা গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ব্যাবসায়িক কাজে ঘর থেকে বের হলে সিআইখোলা রাস্তায় উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিতে চেষ্টা করলে তার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে তার স্বামীকে মো.
এসময় এলাকাবাসি এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। বিবাদীরা যাওয়ার সময় তাদেরকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহীনুর আলম জানায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই স দ ধ রগঞ জ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস