‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে গতি আনতে চায় কমিশন
Published: 3rd, August 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হয়। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিশন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে এবং পরবর্তী ধাপে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করবে।
কমিশন মনে করছে, প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দলগুলোর পাশাপাশি সরকারেরও করণীয় রয়েছে। এজন্য আলোচনা ও পরামর্শ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবনা ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। অধিকাংশ দল মতামত দিলেও যেসব দল এখনও মত দেয়নি, তাদের দ্রুত মতামত জানানোর জন্য সভায় তাগিদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো.
ঢাকা/এএএম//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে