৪০ বছর ধরে এক টাকার ‘গুলগুলি’ বিক্রি করেন দুই ভাই
Published: 13th, July 2025 GMT
ছোট্ট একটি দোকান। কড়াইয়ের গরম তেলে ছেড়ে দেওয়া হয় ২০–৩০টি গুলগুলি (মিষ্টান্ন)। সেগুলো ভাজা শেষ হতেই বাসনে তোলা হয়, আর তখনই একে একে বিক্রি হয়ে যায় সব কটি। এমন দৃশ্য দেখা যায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া মোড়ে।
৪০ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় গুলগুলি বিক্রি করছেন মো. মমিন (৬৫) ও তাঁর ভাই আলতাফ হোসেন (৫০)। দুই ভাই মিলে এই দোকান চালান।
মমিন বলেন, তাঁদের দোকান খোলা থাকে বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার গুলগুলি বিক্রি হয়। সাধারণত ময়দা, চিনি, কালোজিরা ও নারকেল দিয়ে তৈরি এই গুলগুলি গরম গরম পরিবেশন করা হয়। নিত্যপয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও এক পয়সা দাম না বাড়িয়ে এত বছর ধরে বিক্রি হওয়া মিষ্টান্নটি স্বাদ ও দামের কারণে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়।
এত বছর ধরে একই দামে গুলগুলি বিক্রি করছেন কীভাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মমিন বলেন, ‘যখন ময়দা ও চিনির দাম কম ছিল, তখন গুলগুলির আকার কিছুটা বড় ছিল। উপকরণের দাম বাড়ায় আকার ছোট করেছি, কিন্তু দাম এক টাকাই রেখেছি।’
মমিনের ছোট ভাই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘গুলগুলির আকার ছোট করার পর চাহিদা বেড়েছে। কারণ, এগুলো আকারে ছোট হওয়ায় মচমচে ভাজা হয়, এতে স্বাদ আরও বেড়েছে। প্রতিদিন মানুষ দূরদূরান্ত থেকে গুলগুলি খেতে চলে আসেন। অনেকেই খাওয়ার পর বাড়ির জন্য নিয়ে যান। তবে প্রতিদিনের চেয়ে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ক্রেতার ভিড় বেশি হয়।’
৪০ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় গুলগুলি বিক্রি করছেন মো.মমিন (৬৫) ও তাঁর ভাই আলতাফ হোসেন (৫০)
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
২১ দফা দাবিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিল ডাকে।
কলেজের অধ্যক্ষ মাজহারুল শাহিন সমকালকে বলেন, দ্রুত ছাত্ররা ক্লাসে ফিরে আসবে- এটাই তাঁর বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ২১ দফার বিভিন্ন দফা এরই মধ্যে কার্যকর হতে শুরু করেছে। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে হাসপাতালের প্রধান সড়কের ফুটপাতের সমস্ত দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। আনসারদের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের সব গেটে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও ছাত্ররা কেন শাটডাউনে গেল তা বোধগম্য নয়।