ক্রিকেটের বাইবেল যেন নতুন করে লিখলেন আফগান ব্যাটার উসমান গনি। এক ওভারে ৪৫ রান তুলে অনন্য এক রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন এই ওপেনার। আধুনিক ক্রিকেটে যেখানে রান বন্যার মতো বইছে, সেখানে এমন একক ঝড়ে সবার নজর কাড়লেন তিনি।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘ইসিএস টি-টেন ইংল্যান্ড’ টুর্নামেন্টের এক ম্যাচে উসমান গনির ব্যাটে যেন আগুন লেগে গিয়েছিল। লন্ডন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমে গিল্ডফোর্ডের বোলার উইল আর্নিকে এক ওভারে হাঁকিয়ে দিলেন রেকর্ড পরিমাণ রান, ৪৫! এর মধ্যে ৪২ রান ব্যাট থেকে, বাকি ৩ রান অতিরিক্ত (নো বল ও ওয়াইড)। এমন কীর্তি আগে আর কোনো পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে দেখা যায়নি।

ওভারের বলগুলোর পরিসংখ্যান ছিল এমন: ৬+নো বল, ৬, ৪+ওয়াইড, ৬, ৪+নো বল, ৬, ০, ৬, ৪। সব মিলিয়ে ৯টি বল, ৪৫ রান।

আরো পড়ুন:

আরও এক সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারদের পাশে গিল

টেস্টে ৩৮তম সেঞ্চুরিতে সাঙ্গাকারার রেকর্ড ছুঁলেন রুট

ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে ওভারের তালিকায় এটি এখন এক নম্বরে।

এই ম্যাচে উসমান গনি ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। পুরো ইনিংসে মাত্র ৪৩ বলে ১৫৩ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১৭টি ছক্কা ও ১১টি চার, আর স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৫৫.

৮১—যা যে কোনো ব্যাটারের স্বপ্ন!

তার ওপেনিং সঙ্গী ইসমাইল বাহরামিও ছন্দে ছিলেন, ১৯ বলে করেন ঝড়ো ৬১ রান। এই জুটির হাত ধরে লন্ডন কাউন্টি মাত্র ১০ ওভারে তোলে ২২৬ রান। যা টি-১০ ফরম্যাটে বিরল এক স্কোর।

এই পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে গিল্ডফোর্ডের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৫৫ রানে। কেউই অর্ধশতক ছুঁতে পারেননি। ম্যাচের ফল, ৭১ রানে লন্ডনের জয়।

একসময় আফগান জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন উসমান গনি। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর তিনি খেলেছেন ১৭টি ওয়ানডে এবং ৩৫টি টি-২০। কিন্তু ২০২৩ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন। তার ভাষায়, তিনি ফিরবেন তখনই যখন বোর্ডে থাকবে “স্বচ্ছ ম্যানেজমেন্ট ও সৎ নির্বাচনী পদ্ধতি”।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জীবননগরে ভৈরব নদে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মুক্তিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু দুটির নাম রিমন হোসেন (৭) ও মো. জুনায়েদ হোসেন (৭)। রিমন হোসেন মুক্তারপুর গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার মো. সজীব হোসেনের ছেলে এবং মো. জুনায়েদ হোসেন একই গ্রামের মো. জুয়েল মিয়ার ছেলে। তারা দুজন বন্ধু এবং দুজনই পার্শ্ববর্তী কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

রিমন হোসেনের বাবা মো. সজীব হোসেন জানান, আজ রোববার স্কুল ছুটি শেষে বাড়িতে ফেরার পর তিন বন্ধু রিমন হোসেন, জুনায়েদ হোসেন ও রাব্বি হোসেন বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসল করতে যায়। নদীতে নেমে তারা জাগ দেওয়া পাটের ওপর খেলতে শুরু করে। সে সময় পা পিছলে রিমন পানিতে পড়ে। জুনায়েদ তাকে উদ্ধার করতে গেলে দুজনেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুই বন্ধুর পানিতে ডুবে যাওয়া দেখে রাব্বি দ্রুত তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে পানি থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করেন।

এদিকে খবর পেয়ে জীবননগর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ