সিরাজের ভুলের খেসারত কি দিতে হবে ভারতকে
Published: 3rd, August 2025 GMT
কথায় আছে ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। তবে মোহাম্মদ সিরাজ ক্যাচ মিস না করেও করলেন বড় এক ভুল।
প্রসিধ কৃষ্ণার শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন হ্যারি ব্রুক। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক না হওয়ায় বল চলে যায় লং লেগে দাঁড়ানো সিরাজের হাতে। তিনি বলটা ভালোভাবেই মুঠোবন্দী করেন। কিন্তু এরপর শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারেননি। তাঁর ডান পা স্পর্শ করে সীমানারেখা সঙ্গে।
ব্যস, ‘জীবন’ পাওয়ার পাশাপাশি ছক্কাও পেয়ে যান ব্রুক। ২১ বলে ১৯ রানে থাকতে বেঁচে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান এরপর টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে শুরু করেছেন। পরের ১৯ রান করেছেন মাত্র ৯ বলে। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ‘অভিজ্ঞতার ভান্ডার’ জো রুট। তাতে ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে ইংল্যান্ডই কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে। ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে স্বাগতিকদের দরকার আরও ২১০ রান। ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করতে ভারতের চাই ৭ উইকেট।
কাল ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। দিনের শেষ ভাগে সিরাজের বলে বোল্ড হন জ্যাক ক্রলি। আজ অধিনায়ক ওলি পোপকে নিয়ে দলকে ভালোই টানছিলেন আরেক ওপেনার বেন ডাকেট। তবে ফিফটি পেরোনোর পরপরই কৃষ্ণার বলে দ্বিতীয় স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ধরা পড়েন ডাকেট।
এরপর পোপও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৭ রানে থাকতে সিরাজের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। সিরাজ ব্রুকের ক্যাচটা ঠিকঠাক নিতে পারলে ভারতই এতক্ষণে চালকের আসনে থাকত। কিন্তু ব্রুক আর রুট মিলে ৬৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে ভারতকে চাপে রেখেই মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরভারত: ২২৪ ও ৩৯৬
ইংল্যান্ড: ২৪৭ ও ৩৮ ওভারে ১৬৪/৩ (ডাকেট ৫৪, ব্রুক ৩৮*, পোপ ২৭, রুট ২৩*; সিরাজ ২/৪৪, কৃষ্ণা ১/৭৪)
* চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
বলিউডে একসময় রাজত্ব ছিল মুমতাজের। তবে সেই রাজত্ব এক দিনে গড়ে ওঠেনি। তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অভাব, অবহেলা, প্রতিকূলতা আর নীরব যুদ্ধের পথ।
আজ ৩১ জুলাই, মুমতাজের জন্মদিন। এই দিনে তাঁকে মনে করার মানে শুধুই তাঁর রূপ ও অভিনয় নয়—তাঁর আত্মত্যাগ, মানসিক দৃঢ়তাকেও সম্মান জানানো।
শুরুর শুরু
১৯৪৭ সালের এই দিনে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) জন্ম নেন মুমতাজ। বাবা আবদুল সামিদ আসকারী ও মা সরদার বেগম হাবিব আগা (চলচ্চিত্রে ‘নাজ’ নামে পরিচিত)। মা ছিলেন চলচ্চিত্রে যুক্ত, বোন মালিকাও কিছুদিন সিনেমায় ছিলেন, তবে বিয়ের পর বিদায় নেন।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘সংসার’ (১৯৫২) ছবিতে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মুমতাজ। এরপর ‘ইয়াসমিন’ (১৯৫৫), ‘লজ্জাবন্তী’, ‘সোনে কি চিড়িয়া’(১৯৫৮), ‘স্ত্রী’ (১৯৬১)—এমন অনেক ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাঁকে নিয়মিত কাজ করতে হতো। তাঁর শৈশব কেটেছে স্টুডিওর আনাচকানাচে, আলোর বাইরে, ‘স্টান্ট গার্ল’ হিসেবে কাজ করে।
নায়িকা নয় যুদ্ধের পথ
মুমতাজ পূর্ণবয়স্ক চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৬৩ সালে ও পি রলহানের ‘গোহরা দাগ’ ছবিতে। এরপর আতাউল্লাহ খানের ‘পাঠান’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় সাইন করলেও ছবিটি শেষ হয়নি। তখনো বলিউডে নায়িকা হওয়ার মতো ‘গ্রেস’ ছিল না বলেই অনেকে মনে করতেন। তাই বি গ্রেড অ্যাকশন ছবিতে কাজ শুরু করেন, তা–ও আবার শারীরিক কসরতের ঘরানায়।