উনি আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, আমাদের পথ দেখাবেন
Published: 3rd, August 2025 GMT
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, সারা দেশের মানুষ সেই অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার আগে বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, তাঁদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন, সেই প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রদল।
সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক সাহেব লন্ডনে বসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। তার আগে গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব দেশে ফিরে আসবে। তাই না? আমরা সবাই চাই, তাই না? উনি আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, আমাদের পথ দেখাবেন।’
ছাত্রদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তার চর্চা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মেধা ছাড়া আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব না। আর জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা, মেধার চর্চা, এর মধ্য দিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুনছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই: সভাপতি রাকিবুল২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে বিএনপির নেতারা। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র ন ত ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
যৌথ সভা শেষে জানানো হয়, ৭ নভেম্বর সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিএনপির কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা–কর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে একই দিন বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। এর আয়োজক ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দিন বিএনপির উদ্যোগে র্যালি আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে আছে—
শ্রমিক দল: ৫ নভেম্বর আলোচনা সভা।
ছাত্রদল: ৮ নভেম্বর আলোচনা সভা। ৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
ওলামা দল: ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
তাঁতী দল: ১০ নভেম্বর আলোচনা সভা।
কৃষক দল: ১১ নভেম্বর আলোচনা সভা।
জাসাস: ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া ১২ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে ডকুমেন্টারি (ভিডিও ও স্থিরচিত্র) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা ও জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে এ দিবসের গুরুত্ব আজও অনস্বীকার্য।