প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, “পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন বৃদ্ধি করে। কোম্পানির স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করে।”

রবিবার (৩ আগস্ট) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, “কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন তথা বাজার মূল্যও পাওয়া যায়।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি কোম্পানির জন্য যেমন ইতিবাচক ফলাফল আনে, তেমনি দেশের পুঁজিবাজারের জন্যও সুফল বয়ে আনে।

আরো পড়ুন:

সূচকে বড় উত্থান, হাজার কোটির ঘরে লেনদেন

অর্ধবার্ষিকে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মুনাফা বেড়েছে ৪৪.

৭৭ শতাংশ

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসরণে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিসমূহের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিয়াউল হক, বিদুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। একই সাথে দেশের যেসব বিদেশি বা বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা রয়েছে, সেগুলোকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে দ্রুত পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সভায় বিশেষ করে উক্ত কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), সাইনোভিয়া (সাবেক স্যানোফি) বাংলাদেশ লিমিটেড, নোভার্টিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সিনজেন্টা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড, জীবন বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড ইত্যাদি।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার পদে মো. সাইফুদ্দিন সিএফএ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে তিনি অফিসে যোগদান করেন।

এ দিন বিএসইসি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে তাকে কমিশনার হিসেবে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দেয়।

আরো পড়ুন:

সালভো কেমিক্যাল কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন

এ দিন বিএসইসির কমিশন সভা কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান, অন্যান্য কমিশনার এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত কমিশনার মো. সাইফুদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় দেয়া স্বাগত বক্তব্যে চেয়ারম্যান নবাগত কমিশনারের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বিএসইসি ও পুঁজিবাজারে তার ইতিবাচক অবদানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি পুঁজিবাজার ও বাজার কাঠামোতে গঠনমূলক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সকল অংশীজনকে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।পাশাপাশি, বিএসইসির কার্যক্রমকে বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য অংশীজনের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে পরিচিতিপর্ব শেষে উপস্থিত সবাই নবাগত কমিশনারকে স্বাগত জানান।

সাইফুদ্দিন দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্রোকার হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সালে তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০৯ সাল থেকে আইডিএলসি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) এবং সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সদস্য।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান