পথভোলা শিশু ট্রেনে পঞ্চগড়ে, ফিরতে চায় পরিবারে
Published: 3rd, August 2025 GMT
ট্রেনে চড়ে পথ ভুলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে পঞ্চগড়ে চলে আসা এক শিশুকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে সে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে এবং পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায়। শিশুটির নাম রিয়াদ, বয়স আনুমানিক ৫ থেকে ৬ বছর।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে শিশুটিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীতে হস্তান্তর করে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটির সমাজকর্মী ইউসুফ আলী থানায় গিয়ে শিশুটিকে বুঝে নেন।
শনিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত ২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পঞ্চগড় রেল স্টেশন এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে সদর থানা পুলিশ। শিশুটির দেয়া তথ্যমতে, তার বাবার নাম ইব্রাহিম এবং মার নাম নুর নাহার। বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। এর বেশি কিছু বলতে পারছে না। কোথা থেকে ট্রেনে উঠে কীভাবে পঞ্চগড়ে এসেছে, সে বিষয়েও সে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেনি।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী জানান, রাত ২টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রেল স্টেশন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে সে নিরাপদে আছে এবং তার পরিবারের খোঁজ করা হচ্ছে। কেউ তাকে চিনে থাকলে থানায় যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর সমাজকর্মী ইউসুফ আলী জানান, তাদের নগরীতে এতিম ও পথশিশুদের লালন-পালন এবং লেখাপড়া করানো হয়। শিশু রিয়াদের পরিবারের সন্ধান না পেলে তাকেও এখানে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বড় করা হবে।
পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের কেউ শিশুটিকে চিনে থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পঞ্চগড় সদর থানা, মোবাইল ০১৩২০১৩৮৩৭১, ০১৭৫৫৪৯৭৪৯৭.
ঢাকা/নাঈম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট