খিলক্ষেতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম অন্তর (১৯)। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার কুকড়াডাঙ্গা গ্রামের নরেশের ছেলে। একটি মুদির দোকানে চাকরি করতেন তিনি। 

এছাড়া ওই দুর্ঘটনায় ১২ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। 

অন্তর ঢাকায় দক্ষিণখানের কাওলা জামতলায় ভাড়া বাসায় থাকবেন। শনিবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে রেল লাইনে দুর্ঘটনার শিকার হন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়িরর ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।

ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে,  দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ওই যুবক খিলক্ষেত রেলগেট সংলগ্ন রেললাইনে হাঁটছিলেন। এ সময় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সুরমা মেইল নামের ট্রেনে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। 

ঢাকা রেলওয়ের বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তার পরনে ফুল প্যান্ট ও হাফহাতা গেঞ্জি ছিল। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত ট র ন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু

সম্পর্কিত নিবন্ধ