খিলক্ষেতে ট্রেনের ধাক্কায় আহত শিশুর মৃত্যু, পরিচয় মিলেছে নিহত যুবকের
Published: 4th, May 2025 GMT
খিলক্ষেতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম অন্তর (১৯)। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার কুকড়াডাঙ্গা গ্রামের নরেশের ছেলে। একটি মুদির দোকানে চাকরি করতেন তিনি।
এছাড়া ওই দুর্ঘটনায় ১২ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
অন্তর ঢাকায় দক্ষিণখানের কাওলা জামতলায় ভাড়া বাসায় থাকবেন। শনিবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে রেল লাইনে দুর্ঘটনার শিকার হন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়িরর ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।
ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ওই যুবক খিলক্ষেত রেলগেট সংলগ্ন রেললাইনে হাঁটছিলেন। এ সময় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সুরমা মেইল নামের ট্রেনে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।
ঢাকা রেলওয়ের বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তার পরনে ফুল প্যান্ট ও হাফহাতা গেঞ্জি ছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত ট র ন দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়