গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই মার্কিন নাগরিককে আটকের পর মিজোরাম থেকে তাদের বহিষ্কার করে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- মিজোরামের রাজধানী আইজলে পৌঁছে তারা কেএনএ/এফ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিল।তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগেরও অভিযোগ রয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর ছিল, মোট চারজন মার্কিন নাগরিক পর্যটন ভিসায় ২ মে আইজলে যান। তারা চিটাগং হিল ট্র্যাক্টসের (সিএইচটি) কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএ/এফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করছে। সূত্র আরও জানায়, আটককৃতরা কেএনএ/এফ- এর নেতা নাথান লনচেও বমের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। বম বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও এর সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

এই তথ্য পাওয়ার পর লেংপুই বিমানবন্দরে ওই দুই মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে মিজোরাম পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের নাম চেকুন ও সারন। অপর দুজনের অবস্থান কিংবা পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ জানিয়েছেন ২ মে লেংপুই বিমানবন্দর থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। পরদিন শনিবার সেখান থেকে তাদের দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে ওই কর্মকর্তা আরও জানার, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারও রাজ্যে প্রবেশের জন্য ‘সুরক্ষিত এলাকা পারমিট’ (প্রটেকটেড এরিয়া পারমিট-পিএপি) নেই। 

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, ওই চারজন মার্কিন নাগরিক মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে লংত্লাই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বম সম্প্রদায়ের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছিলেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট গঠনে প্রাথমিকভাবে অন্তত দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনো সীমান্ত এলাকায় উসকানিমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সংক্ষেপিত নাম ব্যবহার করে থাকে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের নেতৃত্বে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এ কমিটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরিতে কাজ করবে। পাশাপাশি টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গত ১৫ বছরের নীতিমালা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের নীতি প্রণয়নে কাজ করবে।

শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

গত মার্চে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। এ কমিশনের প্রধান ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।

প্রতিবেদনে বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এ প্রতিষ্ঠানের নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা বা জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা’। এ প্রতিষ্ঠানের বার্তা বিভাগ হিসেবে বাসসকে একীভূত করতে বলেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিভাগ থাকবে। এগুলো হলো টেলিভিশন, বেতার ও বার্তা বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ